স্বৈরাচার এরশাদ-বিরোধী আন্দোলনে ১৯৮৭ সালে আজকের এই দিনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন শহীদ নূর হোসেন। দিনটির স্মরণে রাজধানী জিরো পয়েন্টে ‘নূর হোসেন চত্বরে’ শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন বিভিন্ন পেশাজীবী, সাধারণ মানুষ, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা।
তবে দিনটিকে ঘিরে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পতিত আওয়ামী লীগ। ফলের আওয়ামী লীগকে প্রতিহত করতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ছাত্র-জনতা কঠোর অবস্থান নিয়েছে।
বিভিন্ন পেশার মানুষ অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিচ্ছে সেখানে। ‘ফ্যাসিস্টদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘খুনি হাসিনার ঠিকানা এই বাংলায় হবে না’, ‘নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ঠিকানা, জ্বালিয়ে দাও পুড়িয়ে দাও’, ‘সাঈদ-ওয়াসিম-মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘শহীদ নূর হোসেন লও লও, লও সালাম’- এসব স্লোগানে উত্তাল নূর হোসেন চত্বর।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, ‘স্বৈরাচার হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার প্রেতাত্মারা এখনো ঘাপটি মেরে বসে আছে। ১৫ বছর ধরে হাজারও মানুষকে গুম, খুন, হত্যা করেছে এই ফ্যাসিস্ট হাসিনা।’
তিনি বলেন, ‘শহীদ নূর হোসেন একজন সাধারণ মানুষ। তাকে আজকে আওয়ামী লীগ নিজেদের করে নিতে চেয়েছিল। কিন্তু ছাত্র-জনতা তা হতে দেয়নি। নূর হোসেন সর্বজন স্বীকৃত।’
এরপর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দিকে একটি মিছিল নিয়ে যায় গণঅধিকার পরিষদ নেতারা।
এদিকে গুলিস্তানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও আওয়ামী লীগের ডাকা সমাবেশ ঘিরে সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে পুলিশ সদস্যদের। সচিবালয় রোডের সামনে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের উপস্থিতি রয়েছে। এছাড়া পুলিশের একটি সাঁজোয়া যানও রাখা হয়েছে সেখানে।
এর আগে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত দল আওয়ামী লীগ ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে’ সবাইকে সমবেত হওয়ার ডাক দিয়ে রোববার বিকেল ৩টায় গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টের নূর হোসেন চত্বরে নেতাকর্মীদের সমবেত হওয়ার নির্দেশনা দেয়। এর পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে ‘স্বৈরাচার’ আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিতে একইস্থানে গণজমায়েতের ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
ফলে গুলিস্থান স্টেডিয়ামমুখী সড়কটি কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে আটকে দেয়া হয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে যানজট দেখা দিয়েছে।
যাযাদি/ এস