দলের চেয়ারম্যান-মহাসচিবসহ নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং দলীয় কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় শনিবার (২ নভেম্বর) সমাবেশ ডেকেছে জাতীয় পার্টি। তবে এই সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা।
তিনি বলেছেন, ‘জাতীয় পার্টিকে শনিবার সমাবেশ করতে দেওয়া মানে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসিত করার আরেকটি চক্রান্ত।’
শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ‘ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র, শ্রমিক, জনতা’র ব্যানারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে তারা জাতীয় পার্টির নেতাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের ক্যাডার বাহিনী পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে জড়ো হয়েছিল। আমরা কাকরাইলে পৌঁছানোমাত্রই আমাদের ওপর তারা অতর্কিত হামলা করে। আপনারা শুনেছেন, জাতীয় পার্টি শনিবার সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে। আমাদের কাছে খবর আছে, তারা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আওয়ামী লীগ ক্যাডার বাহিনী নিয়ে এসে সমাবেশ করবে। আমরা বার বার আল্টিমেটাম দিচ্ছি, যেন ফ্যাসিবাদের দোসরদের নিষিদ্ধ করা হয়। তারা বিভিন্ন রূপে ফেরার চেষ্টা করছে। তাদের প্রতি বর্তমান সরকারের অবস্থান কী, আমরা তা জানতে চাই। ডিএমপি কমিশনার কীভাবে এই হত্যাকারীদের দোসরদের সমাবেশ করার অনুমতি দেয়, আমরা জানতে চাই।’
বৃহস্পতিবার মশাল মিছিলকারীদের ওপর জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগ যৌথভাবে হামলা করেছে, এমন অভিযোগ করেন ছাত্রনেতা মশিউর রহমান। তিনি বলেন, ‘গতকাল আমাদের ওপর জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগ একত্রে হামলা করে। আমার হাতে এখনো ব্যান্ডেজ করা। তারা নাকি আবার আগামীকাল সমাবেশ করবে। এটা কি মগের মুল্লুক পেয়েছে? তারা হামলাও করবে, আবার সমাবেশও করবে!’
জাতীয় পার্টির অফিস পুড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে ছাত্র-শ্রমিক-জনতার কোনো সম্পর্ক নেই দাবি করে তিনি বলেন, ‘বিক্ষুব্ধ জনতাই তাদের কর্মকাণ্ডে ফলস্বরূপ তাদের অফিস পুড়িয়ে দিয়েছে।’
যাযাদি/ এসএম