চুয়াডাঙ্গায় দু'গ্রুপের সংঘর্ষে বিএনপির নেতা নিহত

প্রকাশ | ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৩৪

স্টাফ রিপোর্টার, চুয়াডাঙ্গা
ছবি : যায়যায়দিন

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদহ ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র বিএনপির দু'গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ওয়ার্ড বিএনপির নেতা সুলতান (৪৫) নামে একজন নিহত হয়েছে। এঘটনায় দায়েরকৃত মামলার এজাহার নামীয় আসামি সোহরাব (৬০) নামে এক জনকে আটক করেছে পুলিশ।

বুধবার রাত ৯ টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। 

নিহত সুলতান নাটুদহ ইউনিয়নের খলিশা পাড়া গ্রামের মৃত. আফসার আলী ছেলে ও এক নম্বর ওয়ার্ড (গচিয়ার পাড়া - খলিশা পাড়া) বিএনপি'র যুগ্ম সম্পাদক। 

গত ২৩/১০/২০২৪ তারিখ রাত ৯ টার দিকে  বোয়ালমারী গ্রামস্থ ফকিরপাড়া মোড়ে এ মারামারি ঘটনা ঘটে। 

এই মারামারির ঘটনায়  সুলতানের ছেলে পলাশ বাদী হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ১২ তারিখ ২৮/১০/২৪ ইং।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ অক্টোবর দামুড়হুদা  উপজেলার নাটুদহ ইউনিয়নের খলিশা পাড়া - গচিয়ার পাড়া গ্রামে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জেরে   বিএনপি'র দুই গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় গ্রুপের ৫/৬ জন রক্তাক্ত জখম হয়। এদের মধ্যে নাটুদহ ইউনিয়নের খলিশা পাড়া গ্রামের মৃত. আফসার আলী ছেলে ও এক নম্বর ওয়ার্ড (গচিয়ার পাড়া - খলিশা পাড়া) বিএনপি'র যুগ্ম সম্পাদক সুলতান গুরুতর ভাবে আহত হয়। তাকে দ্রুত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেলের রেফার করেন। 

এ ঘটনার ৫ দিন পর ২৮ অক্টোবর সুলতানের ছেলে পলাশ বাদী হয়ে পাঁচজনের নামে দামুড়হুদা মডেল থানায় মামলা করেন। থানা পুলিশ বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে অভিযান চালিয়ে এজাহার নামীয় আসামি গচিয়ার পাড়া গ্রামের ভরসা আলীর ছেলে সোহরাবকে আটক করতে সক্ষম হয়।

রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আহতরা প্রায় সকলে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও রাজশাহী মেডিকেলে ৮ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাত ৯ টার দিকে সুলতান মারা যায়।

দামুড়হুদা  মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এই ঘটনায় সোহরাব নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকি আসামিদের আটক করতে পুলিশি অভিযান চলমান রয়েছে।   

যাযাদি/ এস