রনির আসনে নূর : রাজনীতিতে তোলপাড়
প্রকাশ | ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ১১:২৭
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি মো. নুরুল হক নুরকে তার সংসদীয় এলাকা পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনে সাংগঠনিক কার্যক্রমে সহযোগিতা করতে দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় বিএনপি। এ নিয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় চলছে।
এই চিঠিকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে পড়েছেন বিভ্রান্তিতে। এই চিঠি প্রকাশ্যে আসার পর আগামী সংসদ নির্বাচনে এ আসনের দলীয় মনোনয়ন নিয়ে নতুন করে আবার আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিতে যোগদান করে নির্বাচনে অংশ নেন আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি গোলাম মাওলা রনি। স্বাভাবিক কারণেই প্রশ্ন উঠেছে, এবারও কি জোটের নেতা হিসেবে এই আসনে ভিপি নুর বিএনপির সমর্থন নিয়ে জোট প্রার্থী হচ্ছেন।
এ বিষয়ে এবার মুখ খুললেন গোলাম মাওলা রনি।
সোমবার সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে তিনি একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তার স্ট্যাটাস হুবহু তুলে ধরা হলো- অনেকেই আমাকে প্রশ্ন করেছেন! মতামত বা মন্তব্য জানতে চেয়েছেন। বাস্তবতা হলো- বিষয়টি সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না আর এটা নিয়ে আমার কোনো প্রতিক্রিয়াও নেই।
রুহুল কবির রিজভী যা করেন তা সবই দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে করেন। আর তারেক রহমান যা করেন তা নিজের ইচ্ছায় স্বাধীনভাবে করেন।
নুরুল হক নুরু দীর্ঘদিন থেকেই তারেক রহমানের প্রিয়জন এবং বিশ্বস্ত ব্যাক্তি। নুরু গোপনে এবং প্রকাশ্যে বিএনপির জন্য অনেক ঝুঁকি নিয়েছেন। বিএনপি একটি কৃতজ্ঞ দল এবং তারেক রহমানের কৃতজ্ঞতাবোধ সর্বজনবিদিত।
সুতরাং তিনি যদি তার দুঃসময়ের সহযোদ্ধা এবং একান্ত অনুগত ও বিশ্বস্ত মানুষকে কোনো কিছু দিতে চান তা অবশ্যই প্রশংসনীয়।
এর আগে কেন্দ্রীয় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত ২২ অক্টোবরের এক পত্রে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির আহবায়ক ও সদস্য সচিবকে বিষয়টি জানানো হলেও বিজ্ঞপ্তিটি ২৭ অক্টোবর প্রকাশ্যে আসে।
বিজ্ঞপ্তিতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুর রশিদ চুন্নু ও সদস্য সচিব স্নেহাংশ সরকার কুট্টিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়- ফ্যাসিস্ট আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে যুগপৎ আন্দোলনে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তাই নুরুল হক নুরের সংসদীয় এলাকা পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা ও দশমিনা) আসনে জনসংযোগ ও দলের সাংগঠনিক সার্বিক কার্যক্রমে সহযোগিতা করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।
বিষয়টি অতীব জরুরি উল্লেখ করে, সংশ্লিষ্ট আসনের থানা, উপজেলা বা পৌরসভা বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিষয়টি অবহিত করার জন্যও বলা হয়েছে।
যাযাদি/ এস