সাবেক এমপি সামশুল হক চৌধুরীর এপিএস ইয়াবা এজাজ গ্রেপ্তার

প্রকাশ | ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ১৪:৪৮

চট্টগ্রাম ব্যুরো
ফাইল ছবি

চট্টগ্রামের পটিয়া আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর ব্যক্তিগত সহকারী নুর রশিদ চৌধুরী এজাজ (৪১) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (৫ অক্টোবর) রাতে খুলশীর একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রোববার (৬ অক্টোবর) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।

সোমবার (৭ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মজিবুর রহমান। তিনি বলেন, পটিয়া থানা পুলিশের রিকুইজিশনে ওখানকার একটি মামলায় তাকে খুলশী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার এপিএস এজাজের বাড়ি পটিয়া উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে। সে ওই এলাকার হরিনখাইন গ্রামের মৃত আবদুল মালেক চৌধুরীর ছেলে।

জানা যায়, গত ১৮ জুলাই চট্টগ্রামের পটিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থী, বিএনপি নেতাদের ওপর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ভয়াবহ হামলা এবং বিএনপি অফিস ভাংচুর লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পটিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য ও হুইপ সামশুল হক চৌধুরীকে প্রধান আসামি করে ৭৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে পটিয়া থানায় গত ২০ আগস্ট মামলা দায়ের করেন বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আলী আহমদ। ওই মামলার ১৬ নং এজাহারভুক্ত আসামি গ্রেপ্তারকৃত এজাজ।

উল্লেখ্য, সরকারদলীয় হুইপ ও চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনের সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিএস) এজাজ চৌধুরী পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকও। পরে অবশ্য তাকে বহিষ্কারও করা হয়। ২০১৭ ও ২০২২ সালে ইউপি নির্বাচনে এজাজ নৌকার বিরুদ্ধেও স্থানীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনের দিন চট্টগ্রামের পটিয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরীর পক্ষে টাকা বিতরণের সময় এজাজকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে চাঁদা দাবি, গাড়ি পোড়ানো, নৌকা প্রার্থীর এক সমর্থককে কোপানোসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

২০২০ সালে জুয়া ও ক্যাসিনো ব্যবসা, চাঁদাবাজি, মাদকব্যবসা আর তদবির বাণিজ্য করে কোটি কোটি টাকার মালিক হওয়ার অভিযোগে এজাজ চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটি তখন জানিয়েছিল, এজাজের পাশাপাশি তার বাবা আব্দুল মালেক, বড়ভাই সুলতান উর রশীদ চৌধুরী এবং স্ত্রী সুরাইয়া আক্তারের সম্পদের খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

যাযাদি/ এস