রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন তারা, পঙ্গুত্ব ও অন্ধত্বের শঙ্কা

যাযাদি ডেস্ক
  ২৬ জুলাই ২০২৪, ১২:০৩
ছবি-সংগৃহিত

রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৪২০ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন ২০ জন। এরা কোটা আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এই হাসপাতালে ভর্তি আহতের প্রায় সবাই গুলিবিদ্ধ। এভাবে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে কারও পেটে, কারও বুকে আবার কেউ পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে কাতরাচ্ছেন। আহতদের মধ্যে কারও একটি গুলি আবার কারও লেগেছে দুটি গুলি। একাধিক ছররা গুলির ক্ষত নিয়েও চিকিৎসাধীন কেউ কেউ। আহতদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার মারা গেছেন দুইজন।

এদিকে, ঢাকার আগারগাঁওয়ের জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে কাঁদানে গ্যাস ও ছররা গুলিতে চোখে আঘাত পেয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ৪২৪ জন। এর মধ্যে চোখের অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে ২৭৮ জনের।

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আহত এক কিশোরের মামা জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রাজধানীর মিরপুরে সংঘর্ষের সময় বাসায় ফিরতে গিয়ে ১৯ জুলাই (শুক্রবার) গুলিবিদ্ধ হন তার ভাগনে। ঘটনাস্থল মিরপুর-১০ নম্বর সেকশন। আহত কিশোরটি স্থানীয় একটি স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

আহতের মামা আরও বলেন, তার ভাগনের দুই পায়ে দুটি গুলি লেগেছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীর ততটা ঝুঁকি নেই। তবে কারও কারও পঙ্গু হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।

হাসপাতালের জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (পঙ্গু হাসপাতাল) ক্যাজুয়ালটি-২ বিভাগে ভর্তি আছেন ২৭ বছর বয়সি জাকির হোসেন। সংঘর্ষের মধ্যে ১৮ জুলাই (বৃহস্পতিবার) ঢাকার মধ্যবাড্ডা এলাকায় তার বাম পায়ে গুলি লাগে। পা-টি ইতোমধ্যে অস্ত্রোপচার করে কেটে ফেলতে বাধ্য হয়েছেন চিকিৎসকরা।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ১৫ জুলাই থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে সংঘাত আরও বাড়ে। ১৬, ১৮, ১৯, ২০ ও ২১ জুলাই সংঘাতে এবং পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই শতাধিক মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। এর মধ্যে শিশু-কিশোর, শিক্ষার্থী, তরুণ ও প্রবীণ নাগরিক এবং তিনজন পুলিশ সদস্য ও একজন আনসার সদস্য রয়েছেন। আহত বহু মানুষ হয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

পঙ্গু হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি-২ বিভাগে গুলিবিদ্ধ ৩৫ জন ভর্তি আছেন। আহতদের একজন মো. সিফাত (১৪)। সে মিরপুরের পল্লবী মাজেদুল ইসলাম মডেল হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে জানায়, ১৮ জুলাই (বৃহস্পতিবার) রাত ৯টার দিকে মিরপুর-১০ নম্বর এলাকায় তার ডান পায়ে গুলি লাগে।

সিফাতের বাবা মো. সিরাজ একটি বেসরকারি নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের কর্মী। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে তিনি পল্লবীতে থাকেন। ঘটনার দিন তার ছেলে সিফাত এক বন্ধুর সঙ্গে মিরপুর-১০ নম্বরে গিয়েছিল। বাসায় ফেরার পথে রাস্তা পারাপারের সময় তার পায়ে গুলি লাগে।’

আহতদের মধ্যে শিক্ষার্থী ছাড়াও রিকশাচালক, দিনমজুর, চাকরিজীবী, গাড়িচালকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ রয়েছেন। একজন শিক্ষকও রয়েছেন। আহতরা মিরপুর, মোহাম্মদপুর, উত্তরা, বাড্ডা, নারায়ণগঞ্জ ইদ্যাদি এলাকা থেকে এসে ভর্তি হয়েছেন।

পঙ্গু হাসপাতালে গত মঙ্গলবার ও বুধবার খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৭ থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত পাঁচ দিনে হাসপাতালটিতে সংঘর্ষকালে আহত ১ হাজার ২৬৯ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৩১ জন গুলিবিদ্ধ। আর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র বলছে, ১৯ ও ২০ জুলাই ৪৭২ জন গুলিবিদ্ধ রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে গত বৃহস্পতিবার ও রোববার কতজন গুলিবিদ্ধ রোগী এসেছেন, সেই তথ্য নেই।

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক শফিউর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘গুলিবিদ্ধ রোগীদের পাশাপাশি ১২ জন ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালটিতে আনা হয়েছিল। কয়েক দিন পরিস্থিতি খুব খারাপ ছিল। রোগী সামলাতে হিমশিম খেতে হয়েছে।’

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার মো. নীরব ঢাকায় রিকশা চালিয়ে সংসার চালান। ১৯ জুলাই (বৃহস্পতিবার) মোহাম্মদপুর চাঁদ উদ্যান এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন তিনি। এখন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

নীরব জানান, ঘটনার দিন তিনি রিকশা চালাচ্ছিলেন। হঠাৎ করেই বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। তিনি রিকশা নিয়ে সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে যান। তখন পুলিশের ছোড়া গুলি তার শরীরের বিভিন্ন অংশে লাগে।

১৯ জুলাই মোহাম্মদপুরের চান মিয়া হাউজিং এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন মো. হাবিব (৩০)। তিনি দিনমজুর। তিনি ঘটনার দিন মজুরি নিতে চান মিয়া হাউজিং এলাকায় গিয়েছিলেন। পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের মধ্যে তার পেটে ও পিঠে ২১২টি ছররা গুলি লাগে।

এদিকে, রাজধানীর আগারগাঁওয়ের জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আন্দোলন চলাকালে বুধবার থেকে গত শনিবার (১৭ থেকে ২২ জুলাই) পর্যন্ত ছয় দিনে তারা প্রায় সাড়ে চারশ’ রোগীর চিকিৎসা দিয়েছেন। এরা সবাই চোখে আঘাত পেয়েছেন। এর মধ্যে চোখে আঘাতপ্রাপ্ত ৩১৮ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তবে তাদের অধিকাংশই চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। অনেকেই এখনো চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে অবস্থান করছেন। প্রয়োজন অনুযায়ী কারও কারও চোখে একাধিকবার অস্ত্রোপচার করতে হচ্ছে। চোখের আলো ফিরবে কি না- এমন শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন অনেক রোগী ও তাদের স্বজনরা।

জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন হাবিবুর রহমান। তিনি ডেমরা এলাকার বাসিন্দা। একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা (ম্যানেজমেন্ট) বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তার ডান চোখে ও মাথায় ছররা গুলি লেগেছে। এতে হাবিবুরের চোখ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এখন চোখের দৃষ্টি ফিরে পাবেন কি না সে শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন তিনি।

হাবিবুর রহমান বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে তিনি যাত্রাবাড়ীর কাঁচাবাজারের সামনের সড়কে কোটা সংস্কারের দাবিতে মিছিল করছিলেন। সঙ্গে তার সহপাঠী ও বন্ধুরা ছিলেন। হঠাৎ পেছন দিক থেকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে কিছু লোক এসে এলোপাতাড়ি গুলি করে চলে যায়। তখনই তিনি মাথায় ও চোখে গুলিবিদ্ধ হন।’

হাসপাতালটির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নার্স জানান, গত কয়েক দিনে আন্দোলন-সংঘর্ষে চোখে আঘাত নিয়ে অনেকেই এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের কারও কারও চোখ গুলিতে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হয়তো এদের অনেকেরই আঘাতপ্রাপ্ত চোখে আর আলো ফিরবে না।

আন্দোলনকারী ছাড়াও পথচারী, কর্মজীবী, সাধারণ মানুষসহ অনেকেই গত কয়েক দিনের বিক্ষোভ-সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে ছররা গুলিতে কিংবা ইটপাটকেলে চোখে আঘাত পেয়েছেন। তাদের একজন মিরপুর-১ নম্বরের বাসিন্দা জিহাদ মাহমুদ। কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার পথে মিরপুর-২ নম্বর এলাকায় সহিংসতার মধ্যে তার চোখে ও শরীরে ছররা গুলি লাগে বলে জানান তিনি। একটি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিপ্লোমা কোর্সের শিক্ষার্থী জিহাদ হাসপাতালের ৪১৭ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন।

জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক গোলাম মোস্তাফা জানান, চোখে বিভিন্ন ধরনের আঘাত নিয়ে যারা এসেছিলেন তাদের বেশিরভাগই ছররা গুলিতে আহত। তাদের প্রাথমিক অস্ত্রোপচার যেটা প্রয়োজন, সেটা দেওয়া হয়েছে। অনেকে অস্ত্রোপচারের পর ছাড়পত্র নিয়ে চলেও গেছেন। ওই রোগীরা প্রতি সপ্তাহে ফলোআপের জন্য আসবেন। তবে আস্তে আস্তে বোঝা যাবে দৃষ্টি কতটুকু ফিরছে।

এদিকে, কোটা আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষ-সহিংসতায় এ পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসার আগে ও পরে মারা গেছেন ৮১ জন। এর মধ্যে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয় ৬০ জনকে, বাকি ২১ জন মারা যান চিকিৎসাধীন অবস্থায়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজের গুলিবিদ্ধ বাম পা নিয়ে ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের ফ্লোরে শুয়ে থাকতে দেখা যায় ১০ বছরের শিশু মো. আলিফকে। আলিফের মা আছমা বেগম বলেন, ‘ছেলেকে গোসল দেব বলে পানি ভরছিলাম। এরই ফাঁকে সে একটি ছোট মাছ বয়ামে ভরে খেলতে খেলতে কখন যে রাস্তায় গেছে টের পাইনি। তাকে খুঁজতে খুঁজতেই ফোনে স্থানীয়দের কল পেয়ে জানতে পারি ও গুলিবিদ্ধ।’

আলিফ জানায়, ‘আমি কিছুই করিনি, খেলছিলাম। হঠাৎ গুলি এসে আমার পা ফুটো করে দেয়। আমি পড়ে গিয়ে চিৎকার করে কাঁদছিলাম। তখন কয়েকজন লোক আমাকে হাসপাতালে নেয়। সেখানে ডাক্তার আমার পা থেকে গুলি বের করে।’

ঢামেকে আরও তিনজনের মৃত্যু

এদিকে, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) আহতের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও তিনজন মারা গেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) বাচ্চু মিয়া।

মারা যাওয়া দুইজন হলেন- ময়মনসিংহ নান্দাইল উপজেলা এলাকার বাসিন্দা পোশাক শ্রমিক জামাল মিয়া (১৭) ও পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলার দিনমজুর জাকির হোসেন (২৯)।

জানা যায়, জামাল মিয়ার দেশের বাড়ি ময়মনসিংহ নান্দাইল উপজেলা এলাকায় হলেও তিনি নরসিংদী এলাকায় একটি গার্মেন্টসে গত দুই বছর যাবৎ চাকরি করতেন। গত ২১ জুলাই দুপুরের দিকে অফিস থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সহিংসতার মাঝে পড়ে তিনি আহত হন। পরে হাসপাতালে বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে তিনি মারা যান।

অন্যদিকে নিহত জাকির হোসেন রাজধানীর রায়েরবাগ এলাকায় দিনমজুরের পাশাপাশি একটি টেইলার্সের দোকানে কাজ করতেন। ১৯ জুলাই সহিংসতার সময় তিনি আহত হন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের দিকে মারা যান তিনি।

চমেকে ভর্তি ১৬, একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক

চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘাতের ঘটনার পাঁচ দিন পেরিয়ে গেলেও আহতদের মধ্যে এখনো চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) ১৬ জন ভর্তি রয়েছেন। আর এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তাকে হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট বা নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। বুধবার বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন চমেকের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন।

আইসিইউতে থাকা ওই যুবকের নাম আবদুল মজিদ (২০)। তিনি পেশায় পরিবহণ শ্রমিক। চাঁদপুরে একটি গণপরিবহণের হেলপার ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি খাগড়াছড়িতে। কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষের ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার চাঁদপুরে আহত হন তিনি। এতে তার শরীরের প্রায় ৭০ শতাংশ পুড়ে যায়। উন্নত চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর থেকে চমেকে নিয়ে আসেন এ রোগীর স্বজনরা।

চমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আহত বাকি ১৫ জনের মধ্যে ২০ নম্বর চক্ষু ওয়ার্ডে ৩ জন, ২ নম্বর ক্যাজুয়ালিটি ওয়ার্ডে ৬ জন, ২৮ নম্বর নিউরো সার্জারি ওয়ার্ডে ১ জন এবং ২৬ নম্বর অর্থোপেডিক ওয়ার্ডে ৫ জন ভর্তি রয়েছেন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন সবাই আশঙ্কামুক্ত আছেন বলে জানিয়েছেন চমেক পরিচালক।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে