শুক্রবার, ৩০ আগস্ট ২০২৪, ১৪ ভাদ্র ১৪৩১

 প্রিয় ভাই আমার! কি বলে ডাকিবো আপনায়... রনির পোস্ট ভাইরাল

যাযাদি ডেস্ক
  ১৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:১৪
বাঁ থেকে বেরোবির নিহত শিক্ষার্থী আবু সাঈদ ও গোলাম মওলা রনি। ছবি : সংগৃহীত

রংপুরে কোটা আন্দোলনে নিহত রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী আবু সাঈদকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন পটুয়াখালী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, রাজনীতি বিশ্লেষক গোলাম মাওলা রনি।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাত ১০টা ৪০ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ স্ট্যাটাস দেন। ইতোমধ্যে পোস্টটি ভাইরাল হয়েছে।

স্ট্যাটাসে গোলাম মওলা রনি লিখেছেন, ‘সম্মানিত আবু সাঈদ, আসসালামু আলাইকুম!’

তিনি লিখেন, ‘প্রিয় ভাই আমার! কি বলে ডাকিবো আপনায়। বীর, মহাবীর, শহীদ নাকি মহাকালের শ্রেষ্ঠ সন্তান! আজকের এই দিনে নুরুলদিনের সেই রংপুরে পুলিশের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে যেভাবে আত্মাহুতি দিলেন এমন দৃশ্য ইতিহাসে পড়েছি! যে শহীদি তামান্না নিয়ে রাজপথে দাঁড়িয়ে মৃত্যুকে পরাজিত করলেন এমন ঘটনা ধর্মীয় পুস্তকে পড়েছি! কিন্তু ২০২৪ সালের ১৬ই জুলাই বাংলার মাটিতে যে ইতিহাস তৈরি করলেন তা এই জাতির কৃতজ্ঞ সন্তানরা কিয়ামত পর্যন্ত স্মরণ করবে! আপনিতো মহান আল্লাহর মেহমান হয়ে চলে গেলেন।

আমার মতো কাপুরুষ রোজ কিয়ামতে আপনার সামনে কিভাবে দাঁড়াবো! আল্লাহর দরবারে কি জবাব দেবো! আপনার জন্য দোয়া করার সাহস আমার নেই। বরং আপনি আমাদের জন্য দোয়া করুন এবং আমাদের কাপুরুষতাকে ক্ষমা করুন।’ গোলাম মওলা রনি আরও লিখেছেন, ‘আপনার রক্ত- আপনার জীবন এই জাতির স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বের পুঁজি হয়ে আমাদের ভীরুতা এবং কাপুরুষতার সাদাকা হিসাবে কিয়ামত পর্যন্ত আমাদের জন্য নুর হয়ে আমাদেরকে সঠিক পথ প্রদর্শন করুন এই নিবেদন আপনার বিদেহী আত্মার নিকট রইলো ! আল্লাহ হাফেজ !’

প্রসঙ্গত, কোটা আন্দোলনে গিয়ে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে এই ঘটনা ঘটে। তিনি বেরোবির ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ২টার দিকে রংপুর খামার মোড় থেকে শিক্ষার্থীরা বিশাল মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১নং ফটকের সামনে যায় এবং বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এতে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ প্রায় ২০০ রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ছোড়ে। এরই এক পর্যায়ে টিয়ারশেলের আঘাতে আবু সাইদ নিহত হন।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে