মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১

লালমোহন-তজুমদ্দিন বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ ও হতাশা

স্টাফ রিপোর্টার ভোলা
  ২৯ জুন ২০২৪, ১১:৩১
বিএনপির লগো

প্রত্যেক মানুষের জীবনের ‘গল্প’ আলাদা। তাদের সংকটের ধরনও ভিন্ন । তাদের জীবন যেন একেকটা আলাদা ‘গল্প’ নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। তবে ভোলার লালমোহন ও তজুমদ্দিন উপজেলার বিএনপি নেতাকর্মীর সবার জীবনের ‘গল্পটা’ যেন একই রকমের, একই সুতোয় গাঁথা। রাজনৈতিক বৈরী পরিবেশে মামলা-হামলায় জর্জরিত, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ঈদ উৎসবে এদের একেকটা জীবন যেন একেকটি ‘কষ্টগাথা’। এসব কষ্ট ও হতাশা নিয়ে দলটির ত্যাগী অসংখ্য নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভোলা-৩ (লালমোহন-তজুমদ্দিন) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও পানিসম্পদ মন্ত্রী মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে।

নেতাকর্মীরা বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর হামলা, মামলা, জেল, জুলুম, প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ নানা নিপীড়ন-নির্যাতনে এখন আর্থিকসহ নানা সংকটের মুখে আমরা। এমন অবস্থায় কোনো সহযোগিতা তো দূরের কথা একবারের জন্য ভালোমন্দের খবরও নেয়নি মেজর হাফিজ। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্বের ভূমিকাসহ নানা কারণে আশাবাদী হয়ে উঠেছিল নেতাকর্মীরা। ঠিক সে-সময় মেজর হাফিজের দল বিদ্বেষী মনোভাব ও আচার-আচরণে আরো বেশি কষ্ট পেয়েছেন তাঁরা। মেজর হাফিজের একক খামখেয়ালীপনায় লালমোহন ও তজুমদ্দিন উপজেলার বিএনপি নেতাকর্মীরা এখন নেতৃত্ব হীনতায় ভুগছেন বলেও জানান তারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা বিএনপি'র একাধিক সিনিয়র নেতৃবৃন্দ জানান, লালমোহন ও তজুমদ্দিন উপজেলা বিএনপির কমিটিতে মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদের ছেলেসহ তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষীদের বসিয়ে পোস্টগুলো দখল করে রেখেছে। এসব কমিটির অধিকাংশ সদস্যই ঢাকায় থাকেন। যে কয়জন এলাকায় আছেন তাদের সাথে কোন নেতাকর্মী বা তৃণমূলের যোগাযোগ নাই। তারা বলেন, প্রকৃতপক্ষে যারা বিএনপির রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত, তাদের মধ্য থেকে ত্যাগী নেতাকর্মীদের যুক্তকরে এসব কমিটি গঠন করলে দল যেমন উপকৃত হবে ঠিক তেমনি তৃণমূল কর্মীদেরও বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হবে।

জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক ও লালমোহন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মার্শাল হিমু বলেন, গত ১০ বছর যাবত মেজর হাফিজের সাথে এলাকার মানুষের কোন সম্পর্ক নেই। এমনকি সরকার বিরোধী আন্দোলন বা দলীয় কর্মসূচি পালনে তাঁর কোন মাথাব্যথা ছিলোনা। এসব কর্মকান্ডে তৃনমুল নেতাকর্মীদের সাথে আমিও ক্ষোভ প্রকাশ করছি। তিনি বলেন, দল বা নেতাকর্মীদের প্রতি মেজর হাফিজের এমন অনিহা বা নেতৃত্বহীনতা থাকলে ‘দুর্গ’ হিসেবে পরিচিত লালমোহন ও তজুমদ্দিন উপজেলার বিএনপি একসময় নিশ্চুপ হয়ে যাবে।

এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব বাবুল পঞ্চায়েত বলেন, আমাদের অনেক কিছু হিসেব করতে হয়। তাই সবকিছু বিবেচনা করে প্রকাশ্যে দলীয় কর্মকাণ্ড চালাচ্ছি না। তবে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে আমরা সব সময় যোগাযোগ রাখছি।

এবিষয়ে দেশের বাহিরে থাকায় মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে