শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১

পরিবার পরিকল্পনায় সাধারন ক্যাডার বিলুপ্ত করে টেকিনিক্যালে সমন্বয় করার দাবি

যাযাদি ডেস্ক
  ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৮:৪৬
ছবি : যায়যায়দিন

পরিবার পরিবল্পনা অধিদপ্তরের উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে নিপীড়িত, নিষ্পেষিত চিকিৎসক কর্মকর্তাদের যৌক্তিক দাবি পূরণ। পাশাপাশি চিকিৎসকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করে বৈষম্যহীন অধিদপ্তরের পূনগঠনের দাবিতে সাত দফা দাবি করেছেন পদ বঞ্চিত চিকিৎসক ও কর্মকর্তরা।

রোববার বেলা ১০ টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সামনে মানবন্ধন শেষে সংবাদ সম্মেলন এ সব কথা জানায় তারা। সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সিসি এসডিপি ইউনিটের সহকারি পরিচালিক ডা. মো. সোহেল হাবিব ।

ডা. মো. সোহেল হাবিব বলেন, মাঠ পর্যায়ে সকল কার্যক্রমের জন্য গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, টেকনিক্যাল পদ আছে ১ হাজার ১২০ টি। এ সব পদের বিপরীতে পরিচালকের পদ আছে শুধুমাত্র ২ টি, উপ—পরিচালক পদ মাত্র ২ টি, সহকারী পরিচালক পদ ৫৫ টি এবং মেডিকেল অফিসার ১ হাজার ৬১ টি। যাহা একটি সুসংগঠিত ক্যাডার সৃষ্টির অন্তরায়। বিদ্যমান পদকাঠামোতে একজন ক্যাডার কর্মকর্তা তার প্রায় সম্পূর্ণ চাকুরীকাল ০১ টি পদেই সমাপ্তি ঘটছে।

অন্যদিকে বিাসএস পরিবার পরিকল্পনা (সাধারন) ক্যাডারদের জন্য বিদ্যমান পদ আছে ৬০৩টি। আরও ৯০ টি পদ প্রস্তাবিত আছে। এ সব পদের বিপরীতে মহাপরিচালকের পদ আছে শুধুমাত্র ১ টি, পরিচালকের পদ আছে ৫টি, উপ—পরিচালক পদ ৭০ টি, সহকারী পরিচালক পদ ১৬ টি এবং মেডিকেল অফিসার ৪৮০ টি। এছাড়া লিভ রির্জাভে উপ পরিচালক পদ ৭ টি, সহকারী পরিচালক পদ ১টি এবং পবিআর পরিকল্পনা কর্মকর্তা আছেন ২৩ জন।

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের এমসিএইচ ইউনিটের উপ পরিচালক ডা. আ ন ম মোস্তফা কামাল বলেন, মাঠ পর্যায়ের সকল কার্যক্রম টেকনিক্যাল চিকিৎসকগণ পরিচালনা করছে কিন্তু কোন পদোন্নতি হয়না।

প্রায় সকল টেকনিক্যাল চিকিৎসকই তার প্রথম নিয়োগকৃত পদে চাকরির শুরু করে এবং একই পদে চাকরি থেকে অবসরে যাচ্ছেন। যাহা চরম হতাশাজনক। পক্ষান্তরে, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাগণ অধিদপ্তর বিভাগীয়, জেলা পর্যায়ে সকল পদগুলোতে পদসোপান তৈরি করে প্রমোশনের ব্যবস্থা করেছে। এটা চরম অন্যায়।

তিনি বলেন, নন ক্লিনিক্যাল কর্মকর্তাগণ উপজেলা পর্যায়সহ সকল চিকিৎসা কর্মকর্তাগণের দাপ্তরিক নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা হিসেবে বৈষম্যমূলক আচরণ করে। এমনকি নানা রকম হয়রানিও করা হয়। শুধুমাত্র রিপোর্টিং এর কার্যক্রমের জন্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাদের প্রয়োজন হয়। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের মতো এ রিপোটিং কার্যক্রমও চিকিৎসক কর্মকর্তারা পালন করতে সক্ষম। তাহলে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের কার্যক্রমে চিকিৎসকগণের পরিবর্তে নন টেকনিক্যাল কর্মকর্তার কোন প্রয়োজনই পড়ে না।

বক্তারা বলেণ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের ন্যায় পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সকল ক্ষেত্রে মহাপরিচালক থেকে নিন্মের সকল পর্যায়ে সকল পদগুলো টেকনিক্যাল চিকিৎসক কর্মকর্তাদের পদায়ন করা হলে পরিবার পরিকল্পনা সেবা কার্যক্রমে প্রভূত উন্নতি সাধিত হবে।

দীর্ঘ দিনের বৈষম্য ও বঞ্চনার শিকার এসব চিকিৎসক কর্মকর্তার পক্ষ থেকে ৭ দফা দাবিগুলো হলো: মহাপরিচালক থেকে তদনিম্ন সকল প্রশাসনিক পদসমূহে চিকিৎসক কর্মকর্তাদের পদসৃজন করে পদায়ন করতে হবে। পরিবার পরিকল্পনা (সাধারণ) ক্যাডার বিলুপ্তিকরন / অন্য কাডারে মার্জ করে দিতে হবে।

দ্রুততম সময়ের মধ্যে চিকিৎসক কর্মকর্তাদের ‘গ্রেডেশন লিস্ট’ প্রকাশ ও কার্যকর করতে হবে। অনতিবিলম্বে ক্যাডার নাম্বার ও পদোন্নতির দৃশ্যমান উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। ২০২৩ সালে ‘নন—ক্যাডার’ পদে যোগদানকৃত চিকিৎসক কর্মকর্তাদের ‘এনক্যাডারমেন্ট ভুক্তির’ গেজেট প্রকাশ এবং প্রথম যোগদানের তারিখ থেকে তা কার্যকর করতে হবে। আয়ন ব্যায়ন (ডিডিওশীপ) এর ক্ষেত্রে শুধুমাত্র চিকিৎসকগণেই থাকবেন।

এছাড়া বিসিএস (পরিবার পরিকল্পনা) টেকনিক্যাল (মেডিকেল) ক্যাডার সম্পূর্ণ আলাদা ক্যাডার। সুতরাং; এই ক্যাডারের অর্ন্তভূক্ত সকল কর্মকর্তার যাবতীয় নথিপত্র, বেতন ভাতাদি, এসিআর সহ সার্বিক বিষয়ে সংশ্লিস্ট ক্যাডারের উদ্ধর্তন চিকিৎসক কর্মকর্তার নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

যাযাদি/ এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে