কাউখালী ভাইস চেয়ারম্যানের উপরে হামলা

প্রকাশ | ২৬ আগস্ট ২০২৪, ২১:১১

যাযাদি ডেস্ক
ছবি : যায়যায়দিন

কোটা আন্দোলনের পরে শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগের সাথে সাথে কাউখালী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের উপরে মর্মান্তিক হামলা করে বাসার তিনতলার ছাদ থেকে ফেলে দেয়  ও বসতবাড়িতে হামলা লুটপাট ও ব্যক্তিগত কার্যালয়ে এবং  নিজস্ব ব্যবহৃত মাইক্রোতে গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়।

কাউখালী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক  সম্পাদক এবং সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ মৃদুল আহম্মেদ সুমনের কাউখালীর নিজ বাসার কেচি গেট ভেংগে হামলা ভাংচুর লুটপাট করে।তার মা এবং স্ত্রী তার জীবন বাঁচাবার জন্য প্রাণ বিখ্যা চেয়ে  আহাজারি করে হামলাকারিরা তাদের অনুরোধ না  শুনে প্রথমে একটা রুমের মধ্যে তাদের  আটকে রাখে পরে বাসা থেকে ২২ মাসের মাসুম বাচ্চা সহ বের করে দেন। 

তিনি জীনব বাচাতে বাসার ছাদে পানির ট্যাংকি পাশে আশ্রয় নিলে  সেখানে হামলাকারীরা ছাদের দরজা ভাংতে না পেরে ওয়াল সাফল দিয়ে ভেঙে তাকে হামলা করে মাথায় লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে বাসার তিনতলার ছাদ থেকে ফেলে দেয় তারপর থেকে রাত ১২ পর্যন্ত তাকে পাওয়া যাচ্ছিলনা। সব জায়গায় ও সোসাল মিডিয়ায় ছরিয়ে পরে ভাইস চেয়ারম্যান সুমন কে পাওয়া যাচ্ছে না সে নিহত। 

পরে কাউখালী মুক্তিযুদ্ধা কমপ্লেক্স এর কাছে স্হানীয়রা তাকে পেয়ে  উদ্ধার করে পরে তাকে স্হানীয়রা  প্রথমিক ভাবে মাথায় ও পায়ে সেলাই ব্যান্ডিস করে।  পরে দুরে গিয়ে প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা গ্রহন করতে যান তখন  চিকিৎসকরা পরিক্ষা করে জানান তার পায়ের গোরালী ভেংগে গেছে এবং মাথায় গুরুতর জখম সহ মাঝা ও শরীরের বিভিন্ন স্হানে  আঘাত ধরা পরে এখনও সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। 

খোজ নিয়ে  যানাযায় তার কাউখালী উপজেলা সদরের  সহ  গ্রামের বাড়ি  জয়কুলের বাড়ি এবং তার আপন চাচার বাড়ি সহ হামলা ও ভাংচুর করে বিভিন্ন মালামাল নিয়ে গেছে ও তার গ্রামের বাড়ির কেয়ারটেকার কে মারদর করে হুমকি দিয়ে আসে। তার নিজস্ব ব্যবহৃত গাড়ি উপজেলার নিজতলায় ইওনোর গাড়ির পাশে রাখা অবস্থায় সেখানে আগুন দিয়ে  জ্বালিয়ে  দিয়েছে এবং  তার ব্যাক্তিগত অফিস (কৃষি ব্যাংকের নিচতলা) সব মালামাল লুটকরে এবং আসবাব পত্র বের করে মেইন রোডে বসে  আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে এবং তার অগ্রনী ব্যাংকের একটি পুরোনো চেকে সই করা পেয়ে সেই চেকে টাকা বসিয়ে ব্যাংকে গিয়ে টাকা তুলতে চাইলে ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান তার একাউন্ট কোন টাকা নেই পরে স্হানীয় এক বিএনপির নেতার নাম বলে ব্যাংকের ম্যানেজার কে  চাপ দিয়ে চেকটি ডিজঅনার করে নেন।

যাযাদি/ এম