প্রথম আলোর সামনে নামাজ ও গরু জবাই : ষড়যন্ত্রের অংশ
প্রকাশ | ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৫:৩৭
প্রথম আলোর সামনে নামাজ পড়া ও গরু জবাই করার ঘটনাটি কোনো সাধারণ ঘটনা নয়; এটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের একটি অংশ। এর মাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা এবং একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য হাসিলের চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রশ্ন হলো, এই কাজগুলোর পেছনে কি দেশের কোনো প্রসিদ্ধ ইসলামিক দলের সমর্থন রয়েছে? বাইতুল মোকাররমের খতিব কি এই কাজ সমর্থন করেছেন?
তাহলে এরা কারা? প্রকৃতপক্ষে, এদের সঙ্গে দেশের সত্যিকারের আলেম-ওলামাদের কোনো সম্পর্ক নেই। বরং এরা আওয়ামী লীগের হাতের পুতুল হয়ে উঠেছে। কিছু ভিনদেশী এজেন্টদের সহায়তায় এ ধরনের কার্যকলাপ পরিচালিত হচ্ছে। এর উদ্দেশ্য খুবই স্পষ্ট—দেশকে মৌলবাদী তকমা দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ছোট করা। এসব কাজের মাধ্যমে ফটোশুট করে দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষ*ড়য*ন্ত্র চালানো হচ্ছে।
অন্যায়ের প্রতিবাদ অবশ্যই ইনটেলেকচুয়াল এবং শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে হতে হবে। এ ধরনের অপরিচিত কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়লে দেশ ধ্বংসের পথেই ধাবিত হবে। ৫ই আগস্টের পর থেকে একটি বিশেষ গ্রুপ ধর্মের নামে মাঠে নেমেছে, যারা মূলত পাশের দেশের পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশে অশান্তি সৃষ্টি করতে কাজ করছে।
সতর্ক না হলে বড় বিপদ আসন্ন।
এই নতুন চক্রান্তকারীদের সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। প্রশ্ন হলো, এরা গত ১৬ বছর কোথায় ছিল? হঠাৎ করে এরা কোথা থেকে এলো? তাদের পরিচয় কী?
ধর্মের নামে কোনো অচেনা ও অপ্রচলিত আয়োজন দেখলেই তাতে অংশগ্রহণ করবেন না। নিজের ধর্মীয় জ্ঞান বাড়ান, বিবেককে জাগ্রত করুন, এবং কারো ষড়যন্ত্রের লাঠি হয়ে ওঠা থেকে বিরত থাকুন। মনে রাখবেন, শায়েখ আব্দুর রহমান এবং বাংলা ভাই-এর মতো ব্যক্তিদেরও আওয়ামী লীগ ব্যবহার করেছিল দেশ ধ্বংস করার জন্য। কিন্তু আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের প্রতিরোধ করেছি। আজ আবার সেই একই ধরণের নতুন শ*য়*তানি শুরু হয়েছে।
আমাদের করণীয় :
১. আবেগপ্রবণ না হয়ে বিবেক-বুদ্ধি দিয়ে কাজ করতে হবে।
২. হকপন্থী ইসলামপ্রিয় মানুষদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ থাকুন।
৩. ইউটিউবের তথাকথিত পীর সাহেবদের প্রভাব থেকে দূরে থাকুন।
৪. জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চায় মনোযোগী হোন।
৫. নিজস্ব মিডিয়া হাউস, পত্রপত্রিকা প্রতিষ্ঠা করুন।
৬. নতুন লেখক তৈরি করুন এবং বই লিখে তা বিতরণ করুন।
দেশের মধ্যে যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে সক্রিয় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আমাদের জ্ঞান ও ঐক্যের মাধ্যমে এ ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে। ইনশাআল্লাহ।
যাযাদি/ এস