বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এমন কিছু নাম আছে, যা কোটি মানুষের হৃদয়ে অমর হয়ে আছে।
"তারেক রহমান" সেই নামগুলোর মধ্যে একটি, যা শত বাধা-বিপত্তি পেরিয়েও মানুষের মুখে মুখে উচ্চারিত হয়। রাষ্ট্রযন্ত্রের কঠোর দমননীতি, অপপ্রচার, আইনগত হয়রানি এবং একচেটিয়া ক্ষমতার চাপে তারেক রহমানের নাম বন্ধ করতে আইন পর্যন্ত প্রণয়ন করতে হয়েছে। কিন্তু এসব কিছুর পরও তারেক রহমান কোটি তরুণের আইডল হিসেবে নিজের অবস্থান ধরে রেখেছেন।
তারেক রহমান শুধুমাত্র এক নেতার নাম নয়, এটি একটি স্লোগান। একটি স্বপ্নের নাম, যা একটি সমতার বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ঘোষণা করে। দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় প্রবাসে থেকেও তার প্রভাব প্রতিনিয়ত অনুভূত হয় দেশের রাজনীতিতে। তারেক রহমানের "দেশনায়ক" উপাধি কোনো রাজনৈতিক দলের দেওয়া নয়, এটি জনগণের ভালোবাসার প্রতীক। দেশের তরুণরা এই উপাধিকে নিজেদের শক্তি হিসেবে গ্রহণ করেছে এবং বজ্রকণ্ঠে স্লোগান তুলেছে, "দেশনায়ক তারেক রহমান।"
কিন্তু তারেক রহমান নিজেই এ উপাধি ব্যবহারে বিরত থাকতে বলেছেন। তার মতে, বাংলাদেশ এমন একটি রাষ্ট্র হতে হবে, যেখানে নেতা নয়, জনগণের ইচ্ছা ও অধিকারই মূল শক্তি। রাজা হিসেবে নয়, মানুষের ভালোবাসায় বেঁচে থাকতে চান তিনি। এটি তারেক রহমানের নেতৃত্বের দর্শনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা তাকে অন্যদের চেয়ে আলাদা করেছে।
বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক সংকটে তারেক রহমানের এই অবস্থান তাকে জনগণের মাঝে আরও জনপ্রিয় করে তুলেছে। তরুণ প্রজন্মের কাছে তিনি শুধু একজন নেতা নন; তিনি সংগ্রামের প্রতীক, সমতার প্রতীক, এবং একটি নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা।
তারেক রহমানের প্রতি এই ভালোবাসা কেবল ব্যক্তিগত আবেগ নয়; এটি একটি রাজনৈতিক বার্তাও বহন করে। বর্তমান দমন-পীড়ন ও গণতন্ত্রহীনতার মধ্যেও তার নাম উচ্চারিত হওয়া প্রমাণ করে যে, কোনো আইন বা শাসনকাঠামো দিয়ে মানুষের ভালোবাসা দমিয়ে রাখা যায় না। তারেক রহমানের প্রতি এই আস্থা ও আশা একটি সমতাপূর্ণ, গণতান্ত্রিক এবং প্রগতিশীল বাংলাদেশের স্বপ্নকে আরও শক্তিশালী করে তোলে।
অবশেষে, বাংলাদেশে একটি নতুন রাজনীতির সূচনা প্রয়োজন, যেখানে নেতারা জনগণের ভাই, বন্ধু এবং সেবক হিসেবে কাজ করবেন। তারেক রহমান সেই রাজনীতির প্রতীক হয়ে উঠতে পারেন। তার প্রিয় উপাধি "ভাইয়া" হয়তো এটাই বোঝায় যে, তিনি ১৮ কোটি মানুষের আপনজন।
লেখক : কলামিস্ট, সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ
যাযাদি/ এস