৫ই অগাস্টের পরে দায়ের হওয়া কোন মামলায় নিরীহ লোককে যাতে গ্রেফতার ও হয়রানি করা না হয় সেজন্য পুলিশের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম।
সোমবার ( ২৮ এপ্রিল) দুপুরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
মিথ্যা মামলা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, "আপনাদের সকলকে নিশ্চিত করতে পারি, শুরু থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও বলেছে, আমি নিজে বলেছি এবং পুলিশের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তারা এ নির্দেশ পেয়েছেন যে নিরীহ লোককে যেন গ্রেফতার করা না হয়। হয়রানি করা না হয়।"
এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান শুধুমাত্র তদন্তে যার বিরুদ্ধে দায়ভার পাওয়া যাবে তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট অব অ্যারেস্ট চাওয়া হবে। তাকেই গ্রেফতারের কার্যক্রম নেয়া হবে।
মিথ্যা মামলা রোধে আইনি সীমাবদ্ধতা রয়েছে জানিয়ে বাহারুল আলম বলেন, "এই যে মিথ্যা মামলা বলছেন, মামলাটা মিথ্যা, মামলাটা সত্যই। কিন্তু এই যে আসামির সংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়া , এটা আমরা বন্ধ করতে পারছি না। আইনে আমাদের এই সীমাবদ্ধতা রয়েছে।"
বাহারুল আলম জানান কেউ অভিযোগ করলে তা পুলিশকে মামলা হিসেবে রুজু করতে হয়। মামলা সত্য না মিথ্যা এটা যাচাই করার কোন সুযোগ নেই।
"উনি অভিযোগ যেটা আমাকে দেন ওটাই মামলা হিসেবে আমাকে নিয়ে নিতে হয়। এরপর তদন্তে গিয়ে আমি দেখি আসলে কতটুকু সত্য কতটুকু মিথ্যা। সত্য অংশটুকুই তদন্তে উঠিয়ে নিয়ে আমি আদালতের কাছে পাঠাই" বলেন মি. আলম।
তিনি জানান, "পাঁচই অগাস্টের পরে যেটা দেখা গেছে অনেকে অসৎ উদ্দেশ্য মানুষের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের জন্য , হ্যারাস করার জন্য, ভয় দেখানোর জন্য অপরাধটা হয়তো করেছেন পাঁচজন কি দশজন, কিন্তু ওখানে আরো তিনশো লোকের নাম দিয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকালও একটা হয়েছে।"
জুলাইয়ের গণ অভ্যুত্থানে কতজন পুলিশ কর্মকর্তা গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি জানান তদন্তের পুরো প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিষয়টি বলা যাবে না।
যারা মিথ্যা মামলা করছেন, তাদের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, শুধুমাত্র তদন্ত শেষ হলেই বাদীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অভিযোগ করা যাবে।
যাযাদি/ এম