কবি দাউদ হায়দার আর নেই
প্রকাশ | ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১১:১৯ | আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১১:২১

স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দার মারা গেছেন (ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) জার্মানির স্থানীয় সময় রাত ৯টার দিকে জার্মানির রাজধানী বার্লিনের একটি রিহ্যাবিলিটেশন হোমে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। লন্ডন প্রবাসী নাট্যশিল্পী ও সংগঠক স্বাধীন খছরু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়া বার্লিনে কবির অত্যন্ত স্নেহভাজন, সংস্কৃতিকর্মী ও শিল্পী মাইন চৌধুরী পিটু জানান, কবি দাউদ হায়দার গেল বছরের ডিসেম্বর থেকে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক অসুস্থতাজনিত জটিলতায় ভুগছিলেন এই কারণে বেশ কয়েকমাস জার্মানির বেশ কয়েকটি হাসপাতালেও চিকিৎসাধীন ছিলেন।
শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে কবির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। তার মরদেহ বার্লিনেই দাফন করা হবে বলে জানান পিটু। তবে তার শেষ বিদায় কোথায় এবং কখন হবে তা দেশে থাকা কবির পরিবারের সঙ্গে কথা বলে এবং বার্লিনে তার সকল ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
দাউদ হায়দার ১৯৭৩ সালে ‘কালো সূর্য্যের কালো জ্যোত্স্নায় কালো বন্যায়’ কবিতার জন্য গ্রেপ্তার হন। ১৯৭৪ সালের ২০ মে সন্ধ্যায় তাকে জেল থেকে মুক্তি দিয়ে কলকাতাগামী একটি বিশেষ ফ্লাইটে তোলা হয়। সেই ফ্লাইটে আর কোনও যাত্রী ছিল না এবং পরবর্তীতে ভারত সরকারও তাকে বহিষ্কার করে। ১৯৮৭ সালে নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত জার্মান সাহিত্যিক গুন্টার গ্রাসের সহায়তায় তিনি জার্মানিতে আশ্রয় নেন।
দাউদ হায়দার চিরকাল একাকিত্ব ও বয়সজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন এবং দীর্ঘদিন আইসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে ছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৭৩ বছর। তার জন্ম ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি পাবনা জেলায়। তিনি একজন আধুনিক বাংলা কবি হিসেবে পরিচিত এবং ‘জন্মই আমার আজন্ম পাপ’ কাব্যগ্রন্থের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত।
সত্তর দশকের শুরুর দিকে দাউদ হায়দার দৈনিক ‘সংবাদ’ পত্রিকার সাহিত্য পাতার সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭৩ সালে লন্ডন সোসাইটি ফর পোয়েট্রি তার একটি কবিতাকে ‘দ্য বেস্ট পোয়েম অব এশিয়া’ সম্মানে ভূষিত করে। সর্বশেষ তিনি ‘বাংলা ট্রিবিউন’-এ নিয়মিত কলাম লিখতেন।
যাযাদি/ এসএম