আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন ২৭ জনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরমধ্যে অনেকে ভিডিও ফুটেজ থেকে শনাক্তের মাধ্যমে আটক হয়েছেন। ধারালো অস্ত্র হাতে সরাসরি অংশ নেয় ১৫ জনের একটি দল। তাদের মধ্যে অন্তত দুইজন নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এদের সাতজনকে গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনী।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাতভর অভিযান চালিয়ে নগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুল কাদের বলেন, ‘ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, চট্টগ্রাম আদালত ভবনের সামনের রঙ্গন কনভেনশন হলের গলিতে পড়ে থাকা আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে বেধড়ক মারধর করছে একদল মানুষ।
এদের মধ্যে লাল জামা ও মাথায় হেলমেট পরিধানকারী একজনকে ধারালে অস্ত্র দিয়ে সাইফুলের ঘাড়ে ও পিঠে আঘাত করতে দেখা যায়। নিথর পরে থাকা দেহেও কয়েকজন ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করে।
ভিডিও ও ছবি বিশ্লেষণ করে হত্যার সঙ্গে জড়িত সাতজনের পরিচয় বের করেছে দেশের বিশেষ একটি গোয়েন্দা সংস্থা।
জড়িত সাতজন হলেন- বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটির এলএলবির ৩৬তম ব্যাচের চতুর্থ সেমিস্টারের ছাত্র শুভ কান্তি দাস। চট্টগ্রামের মেথরপট্টি এলাকার বাসিন্দা সুমন নন্দী, হাজারীগলি এলাকার মৃত মনোরঞ্জন দে’র ছেলে বিকাশ দে (৪০), কোতোয়ালির জলসা মার্কেট এলাকার মৃত সুধীর চক্রবর্তীর ছেলে নারায়ণ চক্রবর্তী (৫০) ও বন্দরের নিমতলা এলাকার মানিক দে’র ছেলে মন্টু দে।
এছাড়া দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তাহেরের অনুসারী ও শিপিং কোম্পানি চাকরি করা রাজিব ভট্টাচার্য, চট্টগ্রাম বাকলিয়া কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি জিয়া উদ্দিন ফাহিম। এরই মধ্যে তাদের আসামি করে চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
যাযাদি/ এম