দুর্নীতি বন্ধ করলে দেশ এগিয়ে যাবে : স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা
প্রকাশ | ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৯ | আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৩
স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, আমাদের দেশের উন্নয়নের সবচেয়ে বড় অন্তরায় দুর্নীতি। আর দুর্নীতির কারণে সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী গরীব কৃষকেরা। তাই দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। দুর্নীতিকে ঘৃণা করতে হবে। দুর্নীতি করলে দেশের প্রতি অবদান ম্লান হয়ে যাবে। দুর্নীতি বন্ধ করলে দেশ এগিয়ে যাবে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগরীর আগ্রাবাদস্থ খামার বাড়িতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তরসমূহের চট্টগ্রাম অঞ্চলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ে সবচেয়ে বেশি শিক্ষিত ও ডক্টরেট ডিগ্রিধারী কর্মকর্তা রয়েছে। তাদের অবদান কৃষি তথা দেশের সার্বিক উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমাদের জনসংখ্যা ছিলো সাড়ে ৭ কোটি। এখন তা বেড়ে ১৭-১৮ কোটি হয়েছে। তা সত্ত্বেও কৃষি বিজ্ঞানী ও কৃষি কর্মকর্তাদের কার্যকর ভূমিকার কারণে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পেরেছি। সেজন্য কৃষি কর্মকর্তারা ধন্যবাদ প্রাপ্তির যোগ্য।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয় অনেক ভালো কাজ করছে। তবে তাদের কিছু বদনামও আছে। গৃহীত কিছু প্রকল্প নিয়ে প্রশ্নও আছে। তাই কৃষকের জন্য সত্যিকারের উপকারী প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। উপদেষ্টা বলেন, ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের জনবল সবচেয়ে বেশি। তাদের অনেকেই মাঠ পর্যায়ে ভালো কাজ করছে। আবার কিছু আছে যারা সঠিক সময়ে কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করে না। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনেক বেশি সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা কর্মকর্তাদের বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে অবহিত হন এবং সমাধানে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (গবেষণা) মো. আবু জুবাইর হোসেন বাবলু, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাং নাছির উদ্দীন, জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম-সহ কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তরসমূহের চট্টগ্রাম অঞ্চলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
যাযাদি/ এসএম