কর্ণফুলী টানেল এখন বোঝা: জ্বালানি উপদেষ্টা
প্রকাশ | ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ২১:১৩
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেছেন, কর্ণফুলী টানেলে দেখলাম সেখানে তেমন কোনো গাড়ি নেই। এটা আমাদের জন্য এখন বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শুক্রবার নগরীর সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং প্রতিনিধিত্বশীল ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্র বন্দর করে তার সঙ্গে সংযোগ সড়ক হয়ে একটা ইকোনমিক জোন তৈরি করে অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু এখন দেখেন, সেখানে একটা বিদ্যুৎ প্রকল্প হয়েছে আর এখানে একটা টানেল তৈরি করা হয়েছে যা অপরিকল্পিত পরিকল্পনার একটা অংশ। ফলে দেশ এখন টানেলের লোকসান বয়ে বেড়াচ্ছে।
এ সময় আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষের বহুল প্রতীক্ষিত কালুরঘাট নতুন সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ফাওজুল কবির খান বলেন, বাপেক্সের এক-একটি গাড়ির দাম ৫ কোটি টাকা। কিন্তু বিদ্যুৎ খাতের অবস্থা খুবই ভয়াবহ। আবার জ্বালানি খাতে সরকারকে ২৫ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা দিয়ে পদ্মা রেল সংযোগ করা হয়েছে যার বার্ষিক রাজস্ব আয়ের কথা ছিল ১৪শ কোটি টাকা। কিন্তু ৬ মাস পরে গিয়ে জানতে পারলাম মাত্র ৩৭ কোটি টাকার রাজস্ব এসেছে। এগুলো উন্নয়নের নামে অপচয় করা হয়েছে।
দায়বদ্ধতা থেকেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কোনো পেশিশক্তির কাছে দায়বদ্ধ নয়। এ সরকারের দায়বদ্ধতা আছে জুলাই অভ্যুত্থানে এক হাজারের বেশি শহীদ, ৩০ হাজারের বেশি আহত হয়ে যারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং অগণিত ছাত্র-জনতার প্রতি। এ দায়বদ্ধতা থেকেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।
যাযাদি/ এআর