সম্প্রতি ফাঁস হওয়া একটি কথোপকথনে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কিছু বক্তব্য জাতীয় পর্যায়ে তীব্র বিতর্ক ও উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। ফাঁস হওয়া এই কথোপকথনে শেখ হাসিনা তার দলের এক কর্মীর সঙ্গে কথা বলতে শোনা যায়, যেখানে তিনি বিভিন্ন ষড়যন্ত্রমূলক পরিকল্পনার নির্দেশ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে তার বিভিন্ন বিতর্কিত পদক্ষেপের পরিকল্পনা এবং রাজনৈতিক দমননীতির নকশা স্পষ্ট হয়েছে বলে দাবি করছেন বিশ্লেষকরা।
ফাঁস হওয়া এই অডিও ক্লিপে শেখ হাসিনা তার কর্মীকে বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ এবং অপপ্রচারমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার নির্দেশ দিচ্ছেন বলে জানা গেছে। তিনি নিজেকে ক্ষমতাসীন রাখতে বিদেশি প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ আছে বলেও মন্তব্য করেছেন। বিশেষ করে, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে তার "সংযোগ" থাকার কথা উল্লেখ করেন, যা জনমনে আরও কৌতূহল এবং প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
অডিওটি থেকে আরও জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে বিরোধী ছাত্রদের দমন করতে সেনাবাহিনী পাঠানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন শেখ হাসিনা। ছাত্রনেতারা এই প্রসঙ্গে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলছেন, এটি কি তার এখনও সামরিক বাহিনীর কিছু অংশের উপর প্রভাব থাকার ইঙ্গিত?
বিশ্লেষকরা এই ফাঁস হওয়া কথোপকথনকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখছেন এবং সামরিক ও রাজনৈতিক মহলে এর প্রভাব যথেষ্ট গভীর হতে পারে বলে ধারণা করছেন। বর্তমান সরকার এবং ছাত্র নেতারা বিষয়টি তদন্ত করে সঠিক ব্যবস্থা নেবেন বলে প্রত্যাশা করছেন সাধারণ মানুষ।
যাযাদি/ এসএম