ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজের সংকট আসলে কোথায়?

প্রকাশ | ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫০

যাযাদি ডেস্ক
ফাইল ছবি

‘সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ’- এ শিরোনাম বাংলাদেশের মানুষের খুব চেনা। গত সাত বছরে বহুবার এমন শিরোনাম অবধারিতভাবে সামনে আনছে সেই প্রশ্ন-সংকট আসলে কোথায়?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত এই সাত কলেজের একটি ঢাকা কলেজ। সেই কলেজের শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান বলছেন, তাদের সমস্যা অনেক, কিন্তু আত্মপরিচয়ের সংকটই এখন বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়হীনতায় ভুগছে সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা। আমরা নিজেদের পরিচয় দিতে গিয়ে নানান সমস্যার সম্মুখীন হই।’

ক্ষমতায় পালাবদলের পর এই সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলন করছেন। রহমান সেই আন্দোলনকারীদের অন্যতম ‘ফোকাল পার্সন’। তার ভাষায়, আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় করে দেওয়াটাই এখন সাত কলেজের সব সমস্যা সমাধানের ‘একমাত্র উপায়’। 

রাজপথের আন্দোলনের সমান্তরালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ’ নামে একটি প্ল্যাটফর্মও গড়ে তুলেছেন তারা। এই কলেজগুলোর মধ্যে তিতুমীর কলেজের অনেক শিক্ষার্থী আবার চাইছেন, শুধু তাদের কলেজ নিয়েই একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হোক। সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও এবার কলেজগুলোর অধিভুক্তি বাতিলের দাবি তুলেছে।

শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এ সমস্যার দায় চাপিয়েছেন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর, যাদের সিদ্ধান্তে সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়েছিল।

তার ভাষায়, সেই ‘অবিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্তের’ কারণে এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং সাত কলেজ- উভয়পক্ষকেই ভুগতে হচ্ছে।
তবে শিক্ষার্থীদের মূল দাবি ‘স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়’ স্থাপনের বিষয়ে অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার একমত নয়। কীভাবে সমস্যার সমাধান করা যায়, সেই সুপারিশ দিতে সরকার বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিটি করে দিয়েছে।

কেন এই অধিভুক্তি?

এক সময় দেশের সব ডিগ্রি কলেজ পরিচালিত হতো ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে। ১৯৯২ সালে সরকারি কলেজগুলোকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রণ থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করে তখনকার বিএনপি সরকার।

কিন্তু বিপুল সংখ্যক কলেজ সামলাতে গিয়ে হিমশিম দশা হয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের। সময়মতো পরীক্ষা নেওয়া বা ফল প্রকাশ করতে না পারায় দেখা দেয় দীর্ঘ সেশনজট। অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে দেখা দেয় স্থবিরতা। সনদের মান নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। চাকরির ক্ষেত্রে বৈষম্যের অভিযোগ তুলে শিক্ষার্থীরা তখনো রাস্তায় নেমেছিলেন।

২০১৪ সালের শেষ দিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে গিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ২৭৯টি সরকারি কলেজকে বিভাগীয় পর্যায়ের পুরনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করার নির্দেশ দেন তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর ধারাবাহিতায় ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সাত সরকারি কলেজকে ২০১৭ সালের ১৬ ফেব্রæয়ারি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নেওয়া হয়।

কলেজগুলো হলো- ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ। সে সময় সিদ্ধান্ত হয়, এসব কলেজে ভর্তি পরীক্ষা, পাঠ্যসূচি ও পরীক্ষা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিচালিত হবে।

কী হইল ফল

সাত কলেজকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করার পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে শুরুতে বেশ উচ্ছ¦াস দেখা গিয়েছিল। তবে কিছুদিন না যেতেই তারা নানা সমস্যা তুলে ধরতে শুরু করেন। সেগুলোর সমাধান চেয়ে রাজপথে শুরু হয় আন্দোলন।

সে সময় দীর্ঘমেয়াদি কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নেওয়ায় প্রশাসনিক ও অ্যাকাডেমিক বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবনে ‘হয়রানি’, অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ না করা, সেশনজট, ফল প্রকাশে দীর্ঘসূত্রতা, ত্রুটিপূর্ণ ফলাফল প্রকাশ, রেকর্ড সংখ্যক শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হওয়া ইত্যাদি সমস্যা নিয়ে আন্দোলন করতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।

তাদের শিক্ষাঙ্গনে ফেরাতে বিভিন্ন সময়ে নানা পদক্ষেপ ঘোষণা করা হলেও কিছু সমস্যা এতটাই জটিল রূপ পায় যে অধিভুক্তির পর সাত বছরেও কলেজগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থিতু হতে পারেনি। জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে আন্দোলন জোরালো হয়েছে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ‘ঢাবির সাথে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের বৈষম্য’ শীর্ষক একটি তালিকা দিয়েছেন আন্দোলনকারীদের ‘ফোকাল পার্সন’ আব্দুর রহমান। সেখানে অভিযোগ করা হয়েছে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে গবেষণার জন্য বিভাগভিত্তিক শিক্ষকের অপ্রতুলতা রয়েছে কলেজগুলোতে।

ভর্তি, রেজিস্ট্রেশন, মানোন্নয়ন, নন-কলেজিয়েটসহ বিভিন্ন খাতে যে পরিমাণ টাকা নেওয়া হয়, সে টাকার কতটুকু সাত কলেজের জন্য ব্যয় হয় সে হিসেবের কোনো জবাবদিহিতা থাকে না বলেও অভিযোগ করছেন আন্দোলনকারীরা।
কবি নজরুল সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়া কর্মকার বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এতদিন যাবৎ আমাদের সঙ্গে একটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মতো আচরণ করে আসছে। তারা টাকাটাই নেয় শুধু, আমাদের ক্লাস-পরীক্ষা সংক্রান্ত কোনো তদারকিই করছে না।’

এদিকে শিক্ষার্থী অনুপাতে শিক্ষক সংকট, ক্লাসরুম সংকট, ভর্তি কার্যক্রমে দীর্ঘসূত্রতা, সাত কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের ল্যাবগুলোতে যন্ত্রপাতির অভাব, মানসম্মত লাইব্রেরির অপ্রতুলতা, সহশিক্ষা কার্যক্রমে অপর্যাপ্ত বরাদ্দ, সেমিস্টার পদ্ধতির ব্যবস্থা না থাকার অভাব নিয়েই চলছে কলেজগুলো।

সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের সমাবর্তন পদ্ধতিকে ‘জঘন্য’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন অভিযোগের তালিকায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ‘অনলাইন সমাবর্তন’কেও তারা বৈষম্য হিসেবে দেখেন।

ঢাকা কলেজের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী কাইফ ইসলাম বলেন, ‘এমন সমাবর্তন পদ্ধতি অসম্মানজনক। এসব সমস্যার থেকে মুক্তি পেতে হলে আমাদের অধিভুক্তি থেকে মুক্ত হতে হবে। আমাদের নিজেদের একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থাকলে সেখানে আর বৈষম্য থাকবে না।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাত কলেজের সক্ষমতার বাইরে মাত্রাতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করছে অভিযোগ করে আন্দোলনকারীদের অন্যতম ‘ফোকাল পার্সন’ আব্দুর রহমান বলেন, ‘১০০ জন পড়ানোর ক্যাপাসিটি না থাকলেও ভর্তি করা হয় ৩৫০-এর ওপর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাত কলেজকে লোপাটের উপায় হিসেবে ব্যবহার করছেন।’

আন্দোলনের আরেক ‘ফোকাল পার্সন’ কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী জাকারিয়া বারী সাগর সাত কলেজের কিছু অ্যাকাডেমিক ‘অসংলগ্নতার’ কথা বললেন।

সরকার কী করছে

শিক্ষার্থীরা নতুন করে আন্দোলন শুরুর পর গত ২৪ অক্টোবর ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাতটি কলেজের অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক সমস্যা নিরসনকল্পে’ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে সভাপতি করে ১৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়।

ওই কমিটি শিক্ষার্থীরা প্রত্যাখ্যান করে, ‘বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর কমিশন’ গঠনের দাবি জানিয়ে গত ২৯ অক্টোবর ‘শাটডাউন সায়েন্সল্যাব’ কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে নামে।

পরে গত ৩১ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সরকারি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উপসচিব মো. শাহীনুর ইসলামের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ অক্টোবর গঠিত কমিটির নাম ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাতটি সরকারি কলেজের অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক সমস্যা নিরসনকল্পে’র পরিবর্তে ‘সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের দাবি পর্যালোচনা ও সুপারিশ সংক্রান্ত কমিটি’ করা হলো।

সাত কলেজের সমস্যাগুলো সমাধানের লক্ষ্যে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করেই সমাধান খোঁজার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন কমিটি সংশ্লিষ্টরা।

ওই কমিটির সভাপতি এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের কলেজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ খালেদ রহীম বলেন, ‘আমরা আমাদের এই কমিটিতে আরও নতুন সদস্য যুক্ত করব। আমরা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিকেও অন্তর্ভুক্ত করব। এ সপ্তাহেই আমরা একটি সভা করব। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে যে কমিটিই থাকছে নাকি কমিশন গঠন করা হবে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান গত ২২ অক্টোবর সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বলেছিলেন, ‘সাত কলেজ থাকা না থাকা নিয়ে এখন আলোচনা হচ্ছে। আমরা চাচ্ছি সবাই মিলে একটা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে, এখানে কেউ আলাদা না। সবার মর্যাদা রক্ষা করে সাত কলেজের বিষয়ে একটি যৌক্তিক সমাধান করা হবে, আর এই সিদ্ধান্তটি হবে রাষ্ট্রীয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এখানে একক কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।’

সাত কলেজের সমস্যা সমাধানে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করাই ‘প্রধান ও প্রথম’ কাজ বলে মনে করছেন ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস। তিনি বলেন, ‘সরকার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করেছে। আমরাও আরো আলোচনা করব। শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করলেই সমাধান বেরিয়ে আসবে।’

এদিকে, সাত কলেজের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সঙ্গে গত ৩১ অক্টোবর এক বৈঠক হয়। ওইদিন আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সভার সিদ্ধান্ত তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

তিনি বলেন, ‘সাত কলেজ ঢাবির অধীনেই থাকবে। ঢাবির মধ্যে তাদের জন্য আলাদা একটি জায়গা ঠিক করা হবে, যেখানে প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডগুলো করা হবে। তাদের আলাদা রেজিস্ট্রার, কর্মকর্তা থাকবে। বিষয়গুলো ঢাবি ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সঙ্গে কথা বলেই করা হবে।

এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ১ নভেম্বর এক বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়েছে, তারা এ সমস্যা সমাধানে শিক্ষার্থীসহ গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনদের সঙ্গে আরও আলোচনা করতে চায়।

‘সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ’

আন্দোলনের অন্যতম ‘ফোকাল পার্সন’ কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী জাকারিয়া বারী সাগর স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কল্পিত মডেল উপস্থাপন করে বলেন, ‘আমরা একটি স্বতন্ত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে ভাবছি, যেখানে আমরা একেকটি বিভাগ একেকটি কলেজে রাখতে চাচ্ছি। যেমন ঢাকা কলেজের কিছু ডিপার্টমেন্ট, ইডেন কলেজের কিছু ডিপার্টমেন্ট, কবি নজরুল কলেজের কিছু ডিপার্টমেন্ট। একইভাবে অন্য কলেজগুলোতে নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্যাম্পাস বিস্তৃত হবে। যার নাম হতে পারে সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিল এবং স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা না হলে সাত কলেজের সমস্যাগুলো দূরীভ‚ত হবে না বলেই মনে করছেন আন্দোলনকারীরা। 

সূত্র :বিডি নিউজ

যাযাদি/ এসএম