অস্ত্র ঠেকিয়ে ২০ জেলেকে ধরে নিয়ে যায় মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। তরে তার ২দিন পর আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া দুটি নৌকায় বিজিবির মাধ্যমে টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ জেটি ঘাটে জেলেরা ফেরত আসেন।
পরে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে বিজিবি। তবে জেলেদের ব্যবহৃত ১৭টি নৌকাসহ জাল ফেরত দেয়নি আরাকান আর্মি।
এর আগে গত সোমবার বিকেলে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের অদূরে নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকা থেকে ১৭টি নৌকায় ২০ মাঝিমাল্লাসহ জাল নিয়ে যায় আরাকান আর্মি।
জেলেদের ফেরত আনার বিষয়টি নিশ্চিত করে টেকনাফ-২ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, বঙ্গোপসাগরে নাফ নদে মাছ শিকারের সময় বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের জিরো লাইন অতিক্রম করে মিয়ানমারের জলসীমার নাইক্ষ্যংদিয়া নামক স্থানে ঢুকে পড়ে একদল জেলে।
এ সময় মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে নৌকাসহ ২০ বাংলাদেশী জেলেকে আটক করে নিয়ে যায়। পরে আমরা তাদের (আরকান আর্মি) সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করি। একপর্যায়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলেদের ফেরত আনা হয়েছে।
তিনি বলেন, তবে জেলেদের ব্যবহৃত নৌকাসহ জাল ফেরত দেয়নি। আমরা এ বিষয়ে কথা বলছি।
ফেরত আসা জেলেরা হলেন– মো. হাসিম (৩০), মো. হোসেন (২০), মহি উদ্দিন (২২), এনায়েত উল্লাহ (৩২), আব্দুল শুক্কুর (৩৫), নুর হাফেজ (২২), মো. ইয়াছিন (৩০), আবদুর রহিম (২৪), হাসান আলি (৩৩), ওসমান গনি (৩০), শাহ আলম (২২), আসমত উল্লাহ (২০), আব্দুল শুক্কুর (২৬), আবুল হোসেন (১৭), আয়ুব খান (৩০), নুর হোছেন (২২), মো. বেলাল (১৮), সলিম (২৭), আবদুল কাদের (২২) ও ইবনে আমিন (৩৫)। জেলেরা সবাই টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা।
যাযাদি/ এআর