২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর। সেদিন পল্টন এলাকায় শিবিরের কর্মী সাইফুল্লাহ মোহাম্মদ মাসুমকে লগি-বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা। তারা শুধু তাকে পিটিয়ে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি তারা, মাসুমের মৃত্যুর পর তাদের বাসায় গিয়ে তার ঘুমন্ত বাবাকে গভীর রাতে ডেকে তোলা হয়। এরপর এক কাপড়েই থানায় নিয়ে দেওয়া হয় অস্ত্র মামলা। সেই মামলার ঘানি এখনো টানছেন তার বৃদ্ধ বাবা। এখানেই শেষ নয়, তার মা একটি স্কুল ও কলেজে শিক্ষকতা করতেন। সেই মাকে জোর করে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে আওয়ামী লীগ নেতাদের চাপে।
মাসুম হত্যার ঘটনায় তার পরিবার বাদী হয়ে পল্টন থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। সেই মামলায় প্রধান আসামি করা হয় সদ্য ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশ থেকে পলাতক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে সেই মামলাটি আর আলোর মুখে দেখেনি। পরবর্তীতে সেটিকে রাজনৈতিক মামলা হিসেবে দেখিয়ে তুলে নেয় আওয়ামী লীগ সরকার। ফলে এই হত্যায় যারা জড়িত সবাই পার পেয়ে যায়। সেই ঘটনার ১৮ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও বিচার পায়নি মাসুমের পরিবার। এমনকি মামলার বাদী তার ভাই জীবন বাঁচাতে বিদেশ পাড়ি দিয়েছেন।
যাযাদি/ এস