রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

সাগরে লঘুচাপ : সমুদ্রবন্দরে সতর্ক সংকেত

যাযাদি ডেস্ক
  ২৬ জুলাই ২০২৪, ২০:৫৩
-ফাইল ছবি

শ্রাবণ মাসের মাঝামাঝি এসেও বৃষ্টির দেখা মিলছে না। ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ হচ্ছেন মানুষ। এরই মধ্যে রাজধানীসহ সারাদেশের তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে, এমন আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে গরম বাড়লেও দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

এদিকে, সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এজন্য আবহাওয়া অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দেশের চার নদীবন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এদিকে, সমুদ্র উপকূলবর্তী বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন নদীর পানি জোয়ারের সময় বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আবার ভাটার সময় নেমে যাচ্ছে। উজানের পানির চাপ বাড়ায় এ পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।

শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টায় খুলনা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আজ খুলনা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ সময় সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

এছাড়া আগামী রোববার সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টায় খুলনা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে খুলনা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ সময় সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আগামী পাঁচ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পেতে পারে।

এদিকে, শুক্রবার বরিশাল বিভাগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছির নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও কয়েকটি নদীর পানি সকাল থেকে জোয়ারের সময়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আবার ভাটার সময় নেমে যাচ্ছে। বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-সহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, পূর্ণিমা ও উজানের পানির চাপে বেশ কিছু নদীর পানি বেড়েছে। তবে দক্ষিণাঞ্চলে এখন পর্যন্ত বন্যার কোনো প্রভাব নেই। নদ-নদীর যে পরিমাণ পানি বৃদ্ধি পেয়েছে তা মৌসুমের স্বাভাবিক পরিস্থিতি। এই অঞ্চলের নদীর গভীরতা ও প্রস্থ বড় হওয়ায় এর পানি ধারণ ক্ষমতার বেশি।

তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল ৬টার দিকে ভোলার দৌলতখানের মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৮৯ সেন্টিমিটার, তজুমদ্দিনে মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার ১০৭ সেন্টিমিটার, ভোলা খেয়াঘাট সংলগ্ন তেঁতুলিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

এছাড়া বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার, ঝালকাঠিতে বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার, বরগুনার বেতাগীতে বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ২৪ সেন্টিমিটার, বরগুনায় বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ২১ সেন্টিমিটার, পাথরঘাটার বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার, মির্জাগঞ্জের বুড়িশ্বর/পায়রা নদীর পানি বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার, পিরোজপুরের বলেশ্বর নদীর পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ও উমেদপুরে কচা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে