পাঁচ দিন পর ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সীমিত পরিসরে চালু হয়েছে। জরুরি সেবা দিতে পরীক্ষামূলকভাবে এ সেবা চালু করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ইন্টারনেট সেবা দেয়া হচ্ছে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও অফিস-আদালতে।
আর মোবাইল ইন্টারনেটের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে আজ বুধবার টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) বৈঠক ডাকা হয়েছে।
তবে আজ (বুধবার) রাতের মধ্যে বাসা-বাড়ির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু হতে পারে বলে আশ্বাস দিয়েছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)।
বুধ ও বৃহস্পতিবার (২৪-২৫ জুলাই) ঢাকায় কারফিউ শিথিল থাকবে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। একই সময়ে কারফিউ শিথিল থাকবে গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদীতেও। আর অন্যান্য জেলায় পরিস্থিতি দেখে কারফিউ শিথিলের সিদ্ধান্ত নেবেন জেলা প্রশাসক।
সূত্র মতে, যেসব এলাকায় সহিংসতা হয়নি, সেসব স্থান ‘গ্রিন জোন’ ধরে ইন্টারনেট চালু করা হচ্ছে। সহিংস বিবেচিত এলাকায় ইন্টারনেট দেওয়ার ক্ষেত্রে আইপি ধরে ধরে সংযোগ চালু করা হবে।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘাতের জেরে টানা প্রায় এক সপ্তাহ ইন্টারনেট বন্ধ থাকে। এতে নাগরিক জীবনের বিভিন্ন দিকে সমস্যা হওয়া ছাড়াও বড় ক্ষতির মুখে পড়েছে দেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাত।
ব্যাপক সহিংস বিক্ষোভের মধ্যে অপপ্রচার ঠেকানোর জন্য সরকার গত বুধবার রাত থেকে ফোরজি মোবাইল ইন্টারনেট এবং বৃহস্পতিবার থেকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখে। ব্যবসায়ী, শিল্পপতি ও নাগরিক সমাজ থেকে ইন্টারনেট চালু করার দাবি করা হচ্ছিল।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, মঙ্গলবার রাতের মধ্যে গুরুত্ব অনুযায়ী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু করা হয়েছে।
যাযাদি/ এসএম