শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কুড়িয়ে পাওয়ার শিশুর জন্য ১০ নিঃসন্তান দম্পতির আকুতি

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
  ৩০ নভেম্বর ২০২০, ১৯:২১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রাস্তার পাশ থেকে কুড়িয়ে পাওয়া আনুমানিক ছয় মাস বয়সী ছেলে শিশুটিকে দত্তক নিতে চায় কমপক্ষে দশ নিঃসন্তান দম্পতি। ইতিমধ্যেই এসব নিঃসন্তান দম্পতিরা শিশুটিকে দত্তক নিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও সদর মডেল থানায় যোগাযোগ শুরু করেছেন। কুড়িয়ে পাওয়া শিশুটি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। শিশুটি সুস্থ আছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা।

গত রোববার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের ঢাকা-আগরতলা মহাসড়কের পাশে দুবলা গ্রামের একটি সড়কের পাশে শিশুটিকে পাওয়া যায়।

শিশুটির কান্না শুনে গ্রামের কৃষক জহিরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী পারভীন আক্তার সেখানে গিয়ে দেখেন একটি কলাগাছের ঝোপে কাপড় দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় শিশুটি কাঁদছে।

পরে জহিরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী পারভীন আক্তার শিশুটিকে উদ্ধার করে তাদের বাড়িতে নিয়ে যান ও বিষয়টি গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ পুলিশকে অবহিত করেন।

রাতের বেলা পুলিশ শিশুটিকে জহিরুল ইসলামের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন। শিশুটি বর্তমানে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছে। কোন অভিভাবক না থাকায় নার্সদের সাথে জহিরুল ইসলাম দম্পতি শিশুটিকে দেখাশুনা করছে। শিশুটির প্রকৃত অভিভাবক না পেলে জহিরুল ইসলাম দম্পতি এই শিশুটির দায়িত্ব নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

জহিরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী পারভীন আক্তার বলেন, তাদের দুই ছেলে ও দুই মেয়ে আছে। তারপরও সরকার যদি শিশুটিকে আমাদেরকে দিয়ে দেয় তাহলে সন্তানদের মতো তাকেও মানুষ করার চেষ্টা করবো। ২০ বছর পরেও যদি শিশুটির প্রকৃত অভিভাবক এসে ছেলেকে দাবি করে তাহলে আমরা তাকে তার প্রকৃত মায়ের হাতে তুলে দিব।

এ ব্যাপরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ শওকত হোসেন বলেন, শিশুটি বর্তমানে ভালো ও সুস্থ্য আচে। যদি শিশুটির প্রকৃত অভিভাবকদের না পাওয়া যায় তাহলে সমাজসেবার মাধ্যমে তাকে শিশু পরিবারে হস্তান্তর করা হবে।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আবদুর রহিম বলেন, এখনো শিশুটির কোনো অভিভাবক পাওয়া যায়নি। ফেসবুকসহ বিভিন্নভাবে এ বিষয়ে প্রচার-প্রচারনা চালানো হচ্ছে। শিশুর পরিবারের সন্ধ্যানে পুলিশ কাজ করছে। অভিভাবক না পেলে আদালতের মাধ্যমে শিশুটির পরবর্তী অবস্থান কোথায় হবে এ ব্যপারে সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে।

এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল ও সদর মডেল থানা সূত্রে জানা গেছে, শিশুটিকে দত্তক নিতে ইতিমধ্যেই দশ নিঃসন্তান দম্পতি আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে