বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

প্রতিদিন গড়ে ২০ হাজার কল আসে ৯৯৯ নম্বরে

যাযাদি ডেস্ক
  ২৪ নভেম্বর ২০২০, ২০:৫৬

চালুর পর থেকেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বর। ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর চালু হয় ট্রিপল নাইনের জরুরি সেবা। পুলিশের পরিসংখ্যান অনুযায়ী জাতীয় জরুরি সেবা পেতে শুরুর পর থেকে চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই নম্বরে সেবা পেতে ২ কোটি ৩৯ লাখ ৮হাজার ৫০৩টি কল এসেছে পুলিশের কাছে। যার মধ্যে পুলিশি সহায়তা পেতে ২০লাখ ৭৪ হাজার কল আসে। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ৪১ হাজার ৪৮৮টি কল আসে। এ্যম্বুলেন্স সেবা পেতে ৪১ হাজার ২০৯টি কল। মোট কলারদের মধ্যে ৩৯ লাখ ৮৫ হাজার ৩৫৬জন পুরুষ, ৪লাখ ১৭ হাজার ৭৭৫জন শিশু এবং ১লাখ ৬৪ হাজার ২৯ জন নারী কলারকে সেবা দিয়েছে পুলিশ। এসব সেবা দিতে ডিপার্টমেন্টাল কল এসেছে ৫৮ হাজার ৬২৮টি।

অপর দিকে কোন কারণ ছাড়াই ১ কোটি ৮৯ লাখ ২৫ হাজার ৫৪০ টি কল এসেছে এই নম্বরে।

এসব কল শুধুমাত্র মজা করার উদ্দেশ্য। বর্তমানে সেবা পেতে প্রতিদিন গড়ে ২০ হাজার কল আসছে এই ট্রিপল নাইন নম্বরে।

পুলিশ জানায়, বিপুল জনপ্রিয়তার কারণে একদিকে কল বেশি আসছে অপর দিকে বগুড়া জেলা পুলিশের যানবাহন একেবারেই সীমিত। এই সীমিত সংখ্যক যানবাহন নিয়ে পুলি সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। সীমিত যানবাহনের বিষয়টি রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মো. আব্দুল বাতেনের দৃষ্টিতে আসেল তিনি বগুড়া জেলা পুলিশের জন্য ৯৯৯ সেবা দিতে যানবাহন সংগ্রহের উদ্যোগ নেন।

সেই উদ্যোগ অনুযায়ী মঙ্গলবার দুপুরে বগুড়ার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নতুন গাড়ি তিনটির শুভ উদ্বোধন করেন রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মো. আব্দুল বাতেন। এ গাড়িগুলো জেলার বিভিন্ন এলাকায় ট্রিপল নাইন থেকে আসা কলগুলোকে সেবা প্রদান করবে। উল্লেখ্য ট্রিপল নাইনের জন্য আলাদা গাড়ি বগুড়া জেলাতেই প্রথম চালু করা হলো। জনবান্ধব পুলিশিং নিশ্চিত করার জন্য আইজিপি নির্দেশনার আলোকে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

৯৯৯ এর তিনটি গাড়ি উদ্বোধন কালে ডিআইজি আব্দুল বাতেন বলেন, বগুড়াবাসী এখন থেকে ৯৯৯ এর জরুরী সেবা জরুরী ভিত্তিতেই পাবেন। ৯৯৯ এর ফোন পাওয়া মাত্রই পুলিশ কর্মকর্তা গাড়িসহ পৌছে যাবে সেবা গ্রহীতার কাছে। তিনি বলেন ২০১৭ সালে ১২ ডিসেম্বর দেশে ৯৯৯ এর উদ্বোধন হয়। সেই থেকে এপর্যন্ত ৯৯৯ থেকে ২ কোটি ৪০ লক্ষ ফোন কল পাওয়া গেছে। কিন্তু যানবাহন সংকটের কারনে জরুরী সেবা দিতে পুলিশ হিমশিম খাচ্ছিল। সেই সময় জেলা পুলিশের নিজস্ব উদ্যোগে সংযোজন হওয়া নতুন তিনটি গাড়ি জরুরী সেবা দিতে আগের তুলনায় ত্বরান্বিত হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হায়দার আলী, আব্দুর রশিদ, সনাতন চক্রবর্তী, গাজিউর রহমান, ফয়সাল মাহমুদ, সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবীরসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তাগণ।

বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা জানান, ৯৯৯ এর জরুরী সেবা দিতে দেশে এই প্রথম বগুড়াতেই তিনটি গাড়ি সংযোজন হলো। এই গাড়ি তিনটি শুধু মাত্র ৯৯৯ এর জরুরী সেবার কাজে ব্যবহার হবে। এর আগে সংশ্লিষ্ট থানার গাড়ি দিয়ে ৯৯৯ এর জরুরী সেবা প্রদান করা হচ্ছিল।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে