কিশমিশ যেমন বিভিন্ন ধরনের খাবারের স্বাদ বাড়ানোর জন্য সাহায্য করে তেমনই কিশমিশের রয়েছে অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা। বিশেষ করে কিশমিশ ভেজানো পানি শরীরকে বিভিন্ন রোগ থেকে দূরে রাখে।
কিশমিশ ভেজানো পানিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।
কিশমিশে থাকা ফাইবার পরিপাকে সহায়তা করে এবং হজমশক্তি বাড়ায়। সঙ্গে কোষ্ঠকাঠিন্যও দূর করে।
ভেজানো কিশমিশে থাকা ভিটামিন, মিনারেলস ও আয়রন শরীরে ইমিউনিটি বাড়ায়। ফলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
কিশমিশে থাকা প্রাকৃতিক সুগার শরীরে তৎক্ষণাৎ শক্তি সঞ্চারণ করে। দুর্বলতা কমায়।
কিশমিশ ভেজানো পানিতে রয়েছে পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম, যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে ব্যাপক কার্যকর। ফলে হৃদরোগতজনিত রোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে।
কিশমিশে থাকা ক্যালসিয়াম হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এ ছাড়া অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগের ঝুঁকি কমায়।
কিশমিশে থাকা ভিটামিন ‘সি’ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরে কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে, যা ত্বককে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করে এবং তারুণ্য ধরে রাখে।
ভেজানো কিশমিশে থাকা আয়রন রক্তের হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে শরীরে রক্তশূন্যতা কমে।
ভেজানো কিশমিশে রয়েছে ফাইবার ও স্বল্প পরিমাণে ক্যালরি, যা ঘন ঘন ক্ষুধার প্রবণতা কমিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
ভেজানো কিশমিশ যেভাবে খাদ্যতালিকায় রাখবেন
প্রতিদিন রাতে এক গ্লাস পানিতে ৮ থেকে ১০টা কিশমিশ ভিজিয়ে রাখতে হবে। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর খালি পেটে এই পানি খেলে সবচেয়ে ভালো উপকার পাওয়া যাবে।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া
যাযাদি/ এম