মাটির সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক জন্মগত। ধর্মীয় গ্রন্থমতে মানুষের সৃষ্টি এ মাটি থেকে, আর মানুষের মৃত্যুর পরের ঠিকানাও এ মাটিতে। জন্ম ও মৃত্যুর মধ্যদিয়ে মানুষের আদি ও অন্তের ঠিকানা এ মাটি।
অথচ মাঝে বেঁচে থাকার এ সময়টাতে মানুষের সঙ্গে মাটির সংস্পর্শ হয়ে উঠছে যেন সম্পর্কহীন!
সময়ের পরিক্রমায় ও উন্নয়নমূলক বিবর্তনের হাত ধরে মানুষ এমন এক পৃথিবীর বুকে হেঁটে বেড়াচ্ছে, যেখানে মাটির সংস্পর্শ বলে আর কিছু থাকছে না।
ঢাকা শহরের দিকে তাকালে দেখা যায়, ইট, পাথর, পিচ ঢালাই, টাইলস ও মোজাইকের ভিড়ে চাপা পড়ে গেছে মাটি। হয়তো খালি পায়ে চাইলেই হাঁটা যায়; কিন্তু সবুজ ঘাসের ওপর, ভেজা মাটির ওপর কিংবা শীতের শুকনো পাতার ওপর দিয়ে হেঁটে চলা এক রকমের অনাভ্যাসে এবং ক্ষেত্র বিশেষে অসম্ভবে পরিণত হয়েছে।
মাটি থেকেই আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি, এর মধ্যেই তোমাদেরকে ফিরিয়ে নিবো আর এই মাটি থেকেই আবার তোমাদেরকে বের করবো। (সূরা : ত্ব-হা, আয়াত-৫৫)
‘বর্তমানে এটি বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত - প্রকৃতির সান্নিধ্য থেকে যে যত দূরে, সে তত বেশি অখুশি। ' কম্ব গ্রোভ জার্নালের এক গবেষণায় দেখা যায়, খালি পায়ে মাটির ওপর হাঁটলে শারীরিক অস্থিরতা ও প্রদাহ দূর হয়, বাড়ে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা এবং কমে দুর্বলতা।’
যাযাদি/ এম