মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

হোম অফিসে বাড়ছে মানসিক-শারীরিক সমস্যা

যাযাদি ডেস্ক
  ১৭ নভেম্বর ২০২০, ২০:০৯
আপডেট  : ৩০ নভেম্বর ২০২০, ১৮:৫৭

করোনা মহামারির কারণে বিপর্যয় এড়াতে বিশ্বজুড়ে লকডাউন শুরু হয়। এর পর সারা বিশ্ব অভ্যস্ত হয়ে পড়ে বাড়ি থেকে অর্থাৎ হোম অফিসে কাজ করার পদ্ধতিতে। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে, এই কর্মসংস্কৃতি মানসিক ও শারীরিক অসুস্থতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে কর্মীদেরকে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় ভয়াবহ এ তথ্যই উঠে এসেছে। যা বিপর্যস্ত এ সময়ে আশঙ্কাজনক এক খবর।

সম্প্রতি জার্মানির জোহানস গুটেনবার্গ ইউনিভার্সিটি মাইনজ ২৬ হাজার ৩১৯ জন কর্মীর উপরে এই সমীক্ষা পরিচালনা করে, তাদের গড় বয়স ৪২ বছর।

এই প্রতিবেদনে গবেষক অধ্যাপক ক্রিশ্চিয়ান ডোরম্যান বলছেন, এই মানসিক এবং শারীরিক অবসাদের কারণেই কর্মীদের কাজে উৎসাহ থাকছে না। তবে শুধু নতুনভাবে আসা এই মানসিক অবসাদই নয়, অধ্যাপক ডোরম্যান এ ক্ষেত্রে অনেক বছর ধরে চলা মানসিক অবসাদের দিকেই প্রাথমিক ভাবে ইঙ্গিত দিয়েছেন।

এই গবেষণা বলছে, এই কর্মীদের মধ্যে যারা খুব তীব্রভাবে মানসিক এবং শারীরিক অবসাদের শিকার, তাদের ৪২ শতাংশ পুরুষ। নারীদের ক্ষেত্রে এর মাত্রা আরও বেশি, কেন না তাদের অফিসের পাশাপাশি ঘরের কাজও সামলাতে হয়।

মনোবিজ্ঞানের জ্ঞানই বলে, আমাদের সবার মধ্যেই কোনও না কারণে মানসিক অবসাদ তৈরি হয়। কেউ সেটার সঙ্গে সহজেই লড়তে পারেন, কেউ পারেন না। যারা পারেন না, তাদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা বছরের পর বছর জমতে থাকে।

মন এবং শরীর যেহেতু পরস্পরের সঙ্গে সম্পৃক্ত, সেহেতু মানসিক অবসাদ থেকে জন্ম নেয় শারীরিক ক্লান্তিও। আর এর ফলেও অনেক কর্মীদের কাজে মন বসছে না। কাজের পরিমাণ যেমনই হোক না কেন, তা তাদের এক বিপুল বোঝা বলে মনে হচ্ছে।

অনেক সময় খুব সামান্য কোনও সমস্যাকেও মনে হচ্ছে অনতিক্রম্য বাধা। পরিণামে তারা কাজের জগতে ফিরতে চাইছেন না। যা আর্থিক দিক থেকে তাদের দুর্বল করে তুলছে। আর কাজ চালিয়ে গেলেও মেজাজ ঠিক থাকছে না যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে সাংসারিক জীবনে।

অধ্যাপক ডোরম্যানের মতে, এই সমস্যার একমাত্র সমাধান রয়েছে সংশ্লিষ্ট সংস্থার হাতে। তারা যদি কর্মীদের সঙ্গে সহানুভূতিপূর্ণ ব্যবহার করেন, কর্মক্ষেত্রে তাঁদের স্বাধীনতা দেন, সে ক্ষেত্রে একটু হলেও পরিস্থিতি ভালোর দিকে যেতে পারে!

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে