মানসিক স্বাস্থ্য, শারীরিক অবস্থার দিকে খেয়াল রাখার মতোই যৌন জীবনের দিকেও নজর দেওয়া দরকার। খিদে বা ঘুম পাওয়ার মতো যৌনতাও মানুষের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি। দুই মানুষের মিলনে অবশ্যই মনের বা সম্পর্কের গভীরতার একটা বিরাট হাত থাকে।
শারীরিক সম্পর্ককে যেমন দৃঢ় করে আসল সম্পর্কের বন্ডিং। তেমনই সার্বিকভাবে সুস্থ জীবনের জন্য সুখকর যৌনজীবন জরুরি। কখনও ভেবে দেখেছেন মাসে কতবার মিলিত হন আপনি ও আপনার সঙ্গী। কতবার সহবাস করা উচিত?
সম্প্রতি একটি গবেষণায় উঠে এসেছে সেই তথ্য। চিকিৎসকরাও এনিয়ে দিচ্ছেন, একাধিক মত।
পৃথিবীতে কয়েক হাজার মানুষের যৌন জীবন নিয়ে সম্প্রতি একটি গবেষণা করা হয়। প্রতি মাসে কোন বয়সের মানুষেরা ঠিক কতবার সহবাস করেন, তা দেখা হয়। কতবার সঙ্গমে লিপ্ত হওয়া উচিত তাও সমীক্ষা দেখে বোঝার চেষ্টা করেন গবেষকরা।
এই সমীক্ষা চালায় ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি'স কিনসে ইনস্টিটিউট। বিভিন্ন প্রজন্মের মানুষজন প্রতি মাসে ঠিক কত বার সঙ্গমে লিপ্ত হন তার একটা চিত্র পাওয়া যায়।
দেখা যায়, এখনকার প্রজন্ম 'জেনারেশন জেড' বা 'জেন জি' অর্থাৎ যাঁদের জন্ম ১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে, তাঁরা আগের প্রজন্মের চেয়ে কম বার যৌন মিলনে লিপ্ত হন। এক ডেটিং অ্যাপ থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষের ওপর একটি সমীক্ষা চালানো হয়। অংশগ্রহণকারীদের বয়স ছিল ১৮ থেকে ৭৫ বছরের মধ্যে। সেই সমীক্ষার তথ্য বলছে, জেন জেড মাসে গড়ে মাত্র তিন বার সহবাস করে। পরিবর্তে আগের প্রজন্মের মানুষজন মাসে পাঁচ বার বা তারও বেশিবার সহবাস করে।
সহবাসে কেন অনীহা এপ্রজন্মের?
কাজের চাপ, রোজকার ব্যস্ততা, টেনশন, স্ট্রেস এর জন্য দায়ী, বলছেন গবেষক ও বিশেষজ্ঞরা। সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে, সবচেয়ে বেশি বয়সী ও সবচেয়ে কম বয়সী মানুষজন মাসে সবচেয়ে কম সহবাস করেন। এছাড়াও আজকাল সিঙ্গল থাকার প্রবণতা অনেক বেশি, তাই সহবাসের পরিমাণ এই প্রজন্মে কম।
তবে যতই কম সহবাস করুন না কেন, বিছানায় বর্তমান প্রজন্ম কিন্তু অনেক বেশি দু:সাহসী, বলছে সমীক্ষা। আর এর সূত্র ধরেই গবেষক ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাসে কত বার সহবাস করছেন, তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। সংখ্যাটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। তার চেয়ে সহবাসে দুজন সন্তুষ্ট কি না, সেটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই সহবাসের কোনও বয়সেই কোনও নির্দিষ্ট বাধাধরা সংখ্যা নেই।
যাযাদি/ এম