বিয়ের জন্য ‘পারফেক্ট’ বয়স কত বলুন তো..........?
প্রকাশ | ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ২০:২৪
না বুঝে বিয়ে করলে প্রায়ই দাম্পত্যে নেমে আসে মেঘ। সম্পর্কে ঝগড়া ও মতানৈক্য বেশি হওয়ার পিছনেও বয়স অনেকাংশেই দায়ী থাকে। একসময় যা সম্পর্ককে বিভক্তির দিকে নিয়ে যায়।
বিবাহ একটি সামাজিক বন্ধন। সারা জীবনের এক সামাজিক প্রতিশ্রুতির চেয়েও বেশি কিন্তু এটি এমন একটি বন্ধন যা আমাদের জীবনের যাত্রা পথকে সুন্দর করে তুলতে পারে।
কিন্তু বিয়ে ঠিক বয়সেই করা জরুরি। কারণ তবেই আমাদের পরস্পরকে ও জীবন সঙ্গীকে চেনার, বোঝার মতো মানসিক গঠন থাকবে। এই আজীবনের সম্পর্ককে পরিচালনা করার জন্য প্রয়োজনীয় পরিপক্কতা থাকাও জরুরি।
বলা হয় আপনি যখন জীবন সঙ্গী হিসেবে কাউকে বোঝার মতো পরিপক্ক ও মানসিক ভাবে দক্ষ হন, তখন আপনি বিয়ে করার জন্য উপযুক্ত।
আচ্ছা.... বিয়ে করার সঠিক বয়স কত বলুন তো..?
আজ পর্যন্ত এই প্রশ্নের কোনও সুনির্দিষ্ট উত্তর পাওয়া যায় না। কারণ দেখা গিয়েছে মানসিক পরিপক্কতা এবং বোঝাপড়া ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে কেবল বয়সের সঙ্গে নয়, অভিজ্ঞতার সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তিত হয়।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে জনপ্রিয় মানসিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট নুবুর থাকেপালকার বলেন, "শুধুমাত্র বয়সের উপর ভিত্তি করে কোনও নিশ্চিত কিছু বলা যায় না। কিন্তু স্বামী স্ত্রী উভয়ই মানসিকভাবে, ব্যক্তিগত জীবনধারায় এবং আর্থিকভাবে অভিজ্ঞ হলে তাঁরা বিয়ের জন্য প্রস্তুত বলে বিবেচিত হন।"
তিনি আরও বলেন "যাঁরা তাঁদের সঙ্গীকে বোঝার জন্য যথেষ্ট সংবেদনশীল এবং তাঁদের চাহিদা মেটাতে ইচ্ছুক, তাঁরা বিয়ে করতে পারেন। যদি তাঁদের এক সঙ্গে সুন্দর জীবন গড়ার জন্য ভারসাম্যপূর্ণ লক্ষ্য থাকে তবেই বিয়ে করা উচিত।'
উভয় সঙ্গীর মানসিক স্থিতি ও বোঝাপড়া, ব্যক্তিগত লক্ষ্য, সমাজের সঙ্গে এক সঙ্গে থাকার ক্ষমতা, সংকট পরিস্থিতি পরিচালনা করার দক্ষতা, সৎ কাজ এবং যোগাযোগ ক্ষমতা থাকা জরুরি।
তবে এই সব কিছু একটি নির্দিষ্ট বয়সেই আসবে এমনটা বলা যায় না। কেউ কেউ ২৬ বছর বয়সে এটি আয়ত্ত করে থাকেন। তাই সমাজবিদদের একাংশের মতে এই বয়সটি বিয়ের জন্য সেরা বয়েস।
"দেখা যায় কেউ কেউ এই গুণগুলি ৩০ বছরেরও বেশি বয়সে আয়ত্ত করে ওঠেন। তাই শুধুই বয়সের ভিত্তিতে কাউকে বিয়ের উপযুক্ত বলা চলে না। প্রত্যেক ব্যক্তি কোন বয়সে পরিণত হয় তা ভিন্ন। তাই প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই মানসিক ভাবে পরিণত হওয়ার পরেই তাদের বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত” এমনটাই মত মানসিক বিশেষজ্ঞের।