অনেকেই মাইলেজ বাড়ানোর জন্য নানা রকমের টিপস দেন। এতে খুব বেশি হেরফের হয় না। কিন্তু অনেকেই জানেন না, এই ছোট কাজ মাইলেজকে ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়িয়ে দিতে পারে। সেটাই দেখে নেওয়া যাক।
সাধারণত, বাইক ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার কিলোমিটার চলার পরই এর এয়ার ফিল্টার পরিবর্তন করা উচিত। কিন্তু নোংরা জায়গায় বাইক চালালে যেখানে প্রচুর ধুলা-ময়লা থাকে, তাহলে আগে ফিল্টার বদলানো ভালো। খরচ প্রায় ১০০ টাকা। অর্থাৎ খুবই কম।
আপনার বাইক মাইলেজ কত দিচ্ছে? বাইক কেনার সময় সবার আগে এই প্রশ্নটাই করেন ক্রেতারা। সোজা কথায় এক লিটার পেট্রোলে কত কিলোমিটার চলবে! খারাপ মাইলেজের পিছনে অনেক কারণ থাকে, কমবেশি তা সকলেই জানেন। কিন্তু ভাল মাইলেজের গোপন রহস্যটা কী?
এয়ার ফিল্টার বদলালেই মাইলেজ বাড়বে: প্রত্যেক বাইকে একটা করে এয়ার ফিল্টার থাকে। প্রতি ৩ হাজার কিলোমিটার অন্তর এই এয়ার ফিল্টার পরিস্কার করতে হয় কিংবা বদলাতে হয়। খুব ছোট পার্টস। ফলে অনেকেই গুরুত্ব দেন না। কিন্তু নোংরা বা খারাপ এয়ার ফিল্টার শুধু বাইকের পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলে তাই নয়, মাইলেজও কমিয়ে দেয়।
মানব শরীরে যেমন ফুসফুস, বাইকে তেমনই এয়ার ফিল্টার। ইঞ্জিনে বাতাস পৌঁছে দেওয়াই এর কাজ। এয়ার ফিল্টার যদি ময়লা জমে বা নোংরা হয়ে যায় তাহলে ইঞ্জিনে বাতাসের প্রবাহ সীমিত হয়ে যায়। সোজা কথায়, ইঞ্জিনে সঠিক পরিমাণে বাতাস পৌঁছয় না। ফলে জ্বালানি খরচ বেড়ে যায়।
শুধু তাই নয়, ইঞ্জিনের ক্ষতিও হতে থাকে। তাই নির্দিষ্ট সময় অন্তর এয়ার ফিল্টার পরিস্কার করা জরুরি।
বাইকের এয়ার ফিল্টার পরিস্কার করা সহজ: প্রথমে বাইকের সিট খুলে নীচে থাকা এয়ার ফিল্টারটি বের করতে হবে। তারপর কাপড় দিয়ে পরিস্কার করতে হবে ভালভাবে। ময়লা ঝাড়ার পর এয়ার ফিল্টারে শ্যাম্পু, ক্লিনার বা অন্য কোনও দ্রবণ লাগিয়ে ব্রাশ দিয়ে ভালভাবে ঘষে নিতে হবে। এবার স্বচ্ছ জলে ভালভাবে ধুয়ে নেওয়ার পালা। তারপর শুকোতে হবে। শুকিয়ে গেলে বাইকের যথাস্থানে লাগিয়ে দিতে এয়ার ফিল্টার।
যাযাদি/ এম