ওজন নিয়ন্ত্রণের ডায়েটে বড় চ্যালেঞ্জ

প্রকাশ | ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৪ | আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৬

যাযাদি ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত

কাঙ্খিত ওজনে আসার পরে তা ধরে রাখাটা ওজন নিয়ন্ত্রণের ডায়েটে বড় চ্যালেঞ্জ। অধিকাংশ মানুষ কাঙ্খিত ওজনে আসার পরে আর মোটিভেশন ধরে রাখতে পারে না বা চায় না, ফলে তারা পুণরায় অনিয়ন্ত্রিতভাবে উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার গ্রহণ করা শুরু করে এবং ঝরিয়ে ফেলা ওজনও আবার ফিরে পায়। আবার ওজন কমার ফলে ক্ষুধা বৃদ্ধি পায়, এটিও ওজন রিগেইন করার অন্যতম কারণ।

এছাড়াও কেউ কেউ শরীর চর্চা বাদ দিয়ে দেন, কেউ আবার নিয়মানুবর্তীতা ছেড়ে দেন। একবার ওজন কমিয়ে ফেলার পর অনেকেই মনে করেন ওজন আবার বেড়ে গেলেও সমস্যা হবে না। আবার ওজন কমানো যাবে। কিন্তু একবার ওজন কমিয়ে আবার বাড়লে দ্বিতীয় বা তৃতীয়বার অথবা তারও পরে ওজন কমানো আগের বারের তুলনায় কঠিন হয়। কারণ, বারবার ওজন কমানো এবং বেড়ে যাওয়ার ফলে শরীরের মেটাবলিক রেট কমে যায়। তাই ওজন কমাবার আগে কাঙ্খিত ওজন বজায় রাখার জন্য নিজেকে মোটিভেটেড হতে হবে।

কাঙ্খিত ওজনে আসার পরে ছোট কিছু টিপস ফলো করে ওজন ধরে রাখা সম্ভব।

অল্প করে বারে বারে খাওয়া: একবারে অনেক খাবার না খেয়ে অল্প অল্প করে সারাদিনে পাঁচ থেকে ছয়টা মিল গ্রহণ করলে শরীরে ফ্যাট জমা হওয়ার প্রবণতা কম হয়।

পরিমিত খাওয়া: কাক্সিক্ষত ওজনে আসার পরে অনেক খাবারই নিষিদ্ধ তালিকা থেকে বাদ হয়, মানে সকল ধরনের খাবারই তখন খাওয়া যায়। কিন্তু কাক্সিক্ষত ওজন ধরে রাখতে হলে সকল খাবারই পরিমিত খেতে হবে।অনিয়ন্ত্রিতভাবে খেলে সাস্থ্যকর খবারও হতে পারে ক্ষতির কারণ বা ওজন বৃদ্ধির কারণ।

নিয়মানুবর্তী হওয়া: নিয়মানুবর্তীতা, সাস্থ্যকর জীবনযাপন ওজন নিয়ন্ত্রণ ও ধরে রাখার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। সুনির্দিষ্ট সময়ে খাবার খাওয়া, ঘুমানো এবং রোজ নিয়ম করে একটু শরীর চর্চা করা শুধু ওজন নিয়ন্ত্রণই নয় বরং সার্বিক শারীরবৃত্তীয় কাজকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হতে সহায়তা করে।

পর্যাপ্ত পানি পান করা: পরিমিত খাবারের পাশাপাশি পর্যাপ্ত পানি পান করাও শারীরবৃত্তীয় কার্যকলাপ পরিচালনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

স্বাস্থ্য সম্মত খাবার খাওয়া এবং ঘরে জাঙ্ক ফুড না রাখা: কাক্সিক্ষত ওজনে আসার পরে মাঝেমাঝে কিছুটা জাঙ্কফুড খাওয়া যেতেই পারে তবে সেটা যেনো রেগুলার না হয় সে দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখা প্রয়োজন। এর উপায় হিসাবে নির্দিষ্ট উৎসব বা উপলক্ষ ব্যাতীত ঘরে জাঙ্কফুড না রাখাই শ্রেয়। 

সক্রিয় জীবন যাপন করা: সক্রিয় বা এক্টিভ জীবনযাপন আমাদের শরীরকে রোগমুক্ত রাখতে সহায়তা করে। তাই যথা সম্ভব নিজের কাজগুলো নিজেই করার চেষ্টা করতে হবে। যারা ডেস্ক জব করেন, তারাও পুরো অফিস টাইম বসে না কাটিয়ে কয়েক ঘন্টা পরপর একটু হেটে আসার চেষ্টা করবেন এবং যথাসম্ভব লিফটের পরিবর্তে সিড়ি ব্যবহার করবেন। 

লেখক : সানজিদা শারমীন
সিনিয়র ক্লিনিকাল ডায়েটিশিয়ান
ল্যাবএইড ডায়াগনস্টিক, উত্তরা সেন্টার-১, উত্তরা-ঢাকা। 

যাযাদি/এআর