কেন ফেসবুক প্রোফাইল লাল হলো

প্রকাশ | ৩১ জুলাই ২০২৪, ০৯:১৩

যাযাদি ডেস্ক
ছবি-সংগৃহিত

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে এবং সরকার কর্তৃক ঘোষিত শোক দিবসকে প্রত্যাখ্যান করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের প্রোফাইল লাল রঙের ফ্রেমে রাঙিয়েছেন অনেকে।

 

এসব ব্যক্তির মধ্যে শিক্ষক, সংস্কৃতিকর্মী, সাংবাদিক, লেখক, শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ আছেন। তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে মঙ্গলবার এই প্রতিবাদ জানান। তবে সরকার-সমর্থকদের অনেকে ফেসবুক প্রোফাইলে কালো রঙের ফ্রেম জুড়েছেন।

এদিকে, দেশে ছাত্র-জনতা হত্যা, নির্যাতন, গণগ্রেপ্তার, হামলা-মামলার প্রতিবাদ জানিয়েছেন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের মানুষজন। তারা মঙ্গলবার রাজধানীর গুলিস্তানে প্রতিবাদী গানের মিছিল করে এ প্রতিবাদ করেন। 

এসময় মিছিলে পুলিশ বাধা দিলে প্রতিবাদকারীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া সহিংসতায় সারাদেশে শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চেয়ে চোখে-মুখে লাল কাপড় বেঁধে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনার শিববাড়ী ও কিশোরগঞ্জে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মৌন মিছিল, র‌্যালি ও সমাবেশ করেন।


দেশে সাম্প্রতিক সহিংসতায় নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে মঙ্গলবার সারাদেশে শোক পালনের সিদ্ধান্ত হয়। এরপর ওইদিন রাতে শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবির পক্ষে রাষ্ট্রীয় শোক প্রত্যাখ্যান করে মঙ্গলবার মুখ ও চোখে লাল কাপড় বেঁধে ছবি তোলার কর্মসূচি ঘোষণা করেন কোটা আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন সমন্বয়ক। 

এই কর্মসূচি ঘোষণার পর সোমবার রাত থেকেই ফেসবুকের প্রোফাইলে লাল রঙের ফ্রেম সাঁটাতে থাকেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা তাদের ফেসবুক প্রোফাইলে লাল ফ্রেম সাঁটিয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, কামরুল হাসান, সামিনা লুৎফা, রুশাদ ফরিদী, কাজলী সেহরীন ইসলাম, সাইফুল আলম চৌধুরী প্রমুখের ফেসবুক প্রোফাইলে লাল রঙের ফ্রেম দেখা গেছে। 

এ ছাড়া নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের পাশাপাশি বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীও ফেসবুক প্রোফাইলে লাল ফ্রেম জুড়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ফেসবুক পেজে লাল ফ্রেম দেখা গেছে। বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীও তাদের প্রোফাইলে লাল ফ্রেম সাঁটিয়েছেন।

অপরদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতারা শোক হিসেবে নিজেদের ফেসবুক প্রোফাইলে কালো ফ্রেম সাঁটিয়েছেন। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, কেন্দ্রীয় নেতা বরিকুল ইসলাম, আবদুল আলীম খান, মুনেম শাহরিয়ার, রফিকুল ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম, রিয়াজুল ইসলামসহ অনেকের প্রোফাইলেই কালো ফ্রেম দেখা গেছে।

রাস্তায় বসেই পালিত প্রতিবাদী গানের কর্মসূচি 
এদিকে, দেশে ছাত্র-জনতা হত্যা, নির্যাতন, গণগ্রেপ্তার, হামলা-মামলার প্রতিবাদ জানিয়েছেন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরা। মঙ্গলবার গুলিস্তান জিরো পয়েন্টে ‘প্রতিবাদী গানের মিছিল’ কর্মসূচি পালন করে তারা এ প্রতিবাদ জানান। এদিন বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে শুরু করে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত তারা এই কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় তাদের স্লোগান দিয়ে, গান গেয়ে ও কবিতা আবৃত্তি করে প্রতিবাদ জানাতে দেখা যায়। দীর্ঘ ২ ঘণ্টা ধরে তাদের সড়কে অবস্থানের কারণে বন্ধ ছিল জিরো পয়েন্ট থেকে বাবুবাজার অভিমুখের সড়কের যান চলাচল।

সরেজমিন দেখা গেছে, সংগঠনটির এই কর্মসূচি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাহাদুরশাহ পার্কে গিয়ে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও জিরো পয়েন্টের একটু সামনের খদ্দর বাজার শপিং কমপ্লেক্সের কাছে পৌঁছালে পুলিশ আটকে দেয়। পরে কয়েক দফা পুলিশ এবং সংগঠনটির সদস্যরা ধ্বস্তাধস্তি এবং বাগবিতণ্ডায় জড়ান। একপর্যায়ে নেতাকর্মী রাস্তাতেই বসে পড়েন। এ সময় তাদের সরকারবিরোধী এবং কোটা আন্দোলনের পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়। তাদের ‘এই সময় দ্রোহের,’ ‘কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর শোক’, ‘রক্তাক্ত জুলাই’, ‘একটা ছেলেকে হত্যা করতে কয়টা গুলি লাগে পুলিশ’, ‘দালাল হাসপাতাল, ‘আমার ভাই চিকিৎসা পেল না কেন’ ইত্যাদি বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করতে দেখা গেছে।
উদীচীর সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে বলেন, ‘সারাদেশে ছাত্রদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা তার প্রতিবাদ জানাতে এসেছি। শুধু আমরা নই আজ সারাদেশের মানুষ রাস্তায় নেমেছে। সরকার নানাভাবে তাদের দমনের চেষ্টা করছে। নানা চক্রান্তের মাধ্যমে সাধারণ প্রতিবাদী মানুষজনকে দমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা দেখেছি, জোর করে ডিবি কার্যালয়ে কোটা আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারীদের কাছ থেকে আন্দোলন বন্ধের ঘোষণা আদায় করা হয়েছে। এসব কর্মকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। সরকারকে বলতে চাই, আপনারা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করুন। না হলে জনগণ টেনে-হিঁচড়ে আপনাদের ক্ষমতা থেকে নামাবে।’
নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন উদীচীর সহসভাপতি জামশেদ আহমেদ তপন। তিনি বলেন, ‘আমরা থেমে থাকব না। আগামী শুক্রবার বিকাল ৩টায় প্রেস ক্লাব থেকে শহীদ মিনার অভিমুখে শোক মিছিল করা হবে। যেখানেই বাধা আসবে সেখানেই প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।’

প্রতিবাদ সমাবেশে কণ্ঠশিল্পী ও মানবাধিকার কর্মী ফারজানা ওয়াহিদ সায়ান, কবি, লেখক ও গবেষক হাসান ফখরি, সাংস্কৃতিক কর্মী কাকলি পারভীনসহ বিভিন্ন সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মী অংশ নেন।

চোখে-মুখে লাল কাপড় বেঁধে

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের র‌্যালি
আমাদের রাজশাহী অফিস জানায়, দেশব্যাপী ছাত্র হত্যা, নিপিড়ীন ও হয়রানির ঘটনায় প্রতিবাদ র‌্যালি ও সংহতি সমাবেশ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। লাল কাপড় মুখে বেঁধে নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষকদের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের সামনে থেকে র‌্যালি শুরু করা হয়। র‌্যালিটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে সংহতি সমাবেশ করে শিক্ষকরা। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সালেহ হাসান নকীব।

শিক্ষার্থীদের নয় দফা দাবির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের পাশে আছি। আটক শিক্ষার্থীদের মুক্তি ও দ্রুত ক্যাম্পাস খুলে দেওয়ার দাবি জানাই।

সমাবেশ সঞ্চালনা করেন আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইফতেখারুল আলম মাসুদ। রাষ্ট্রীয় শোকের দিনে লাল কাপড় মুখে বেঁধে র‌্যালি ও সংহতি সমাবেশের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ কর্মসূচি আমাদের পূর্বনির্ধারিত ছিল। 

এদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে রাজশাহীতে রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হয়। সকালে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান নিয়ে নেতাকর্মী কালোব্যাজ ধারণ করে। পরে সেখানে শোকসভার আয়োজন করা হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার।

আমাদের জাবি প্রতিনিধি জানান, মঙ্গলবার কোটা আন্দোলন ঘিরে দেশব্যাপী শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষকে গুম, খুন, নির্যাতন ও আটকের প্রতিবাদে মুখে লাল কাপড় বেঁধে মৌনমিছিল করেছেন ‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক। মিছিল শেষে সমাবেশ করেন তারা। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চোখে-মুখে লাল কাপড় বেঁধে শিক্ষকদের সঙ্গে সংহতি জানিয়েছেন ‘বৈষম্যবিরোধী’ ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে একটি মৌন মিছিল বের হয়। মিছিলটি পুরনো ফজিলাতুন্নেসা হলসংলগ্ন কোটা সংস্কার আন্দোলনে শহীদ ছাত্র-জনতা স্মৃতিস্তম্ভের সামনে পৌঁছায়। পরে সেখানে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে আবারও মিছিল নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা একই পথে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আসেন। পরে সেখানে সমাবেশ করেন তারা।


কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে প্রাণহানির ঘটনাকে ‘জুলাই গণহত্যা’ নামে অভিহিত করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাহমুদা আকন্দ বলেন, ‘আমি রাষ্ট্রকে প্রশ্ন করতে চাই, যারা এই আন্দোলনকে উন্নয়নের জন্য সহিংস বলছেন, তারা আসলে এই উন্নয়ন কাদের জন্য করছে? এই আন্দোলন হচ্ছে অহিংস আন্দোলন, যাদের জন্য উন্নয়ন করছেন, তারাই রাস্তায় গুলি খেয়ে মরছে অথচ আপনারা নমনীয় হচ্ছেন না।’ 


অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দর্শন বিভাগের অধ্যাপক আনোয়ারুল্লাহ ভূঁইয়া, ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মাফরুহী সাত্তার, বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মৃধা মো. শিবলী নোমান, দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইন, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি শাখার সমন্বয়ক তৌহিদ সিয়াম প্রমুখ।

আমাদের খুলনা অফিস জানায়, ৯ দফা দাবিতে খুলনায় বিক্ষোভ-মিছিল ও সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার নগরের শিববাড়ী মোড়ে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে জেলার বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। 
এদিন সকাল থেকেই শিববাড়ী মোড় ও এর আশপাশের এলাকায় বিভিন্ন বয়সি শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে শুরু করেন। তবে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়। দুপুর পৌনে ১২টায় একটি বড় মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা শিববাড়ী মোড়ে আসেন। সেখানে প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থী অংশ নেন। পরে তারা ওই মোড়ের চারটি সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) তাজুল ইসলাম বলেন, বেলা দুইটার দিকে শিক্ষার্থীরা কর্মসূচি শেষ করেছেন। শান্তিপূর্ণভাবে তাদের কর্মসূচি শেষ হয়েছে।

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, একই দাবিতে কিশোরগঞ্জে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার শহরের পুরনো থানা এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

সকাল ১০টা থেকে শিক্ষার্থীরা শহরের রেলস্টেশন এলাকায় জড়ো হয়ে মিছিল নিয়ে শহরে প্রবেশ করেন। বেলা ১১টায় পুরনো থানা এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন তারা। তাদের মাথায় লাল কাপড় বাঁধা ছিল এবং হাতে লাল রঙের প্ল্যাকার্ড। একপর্যায়ে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ইকরাম হোসেনের সঙ্গে কথা বলেন। এর কিছুক্ষণ পর শিক্ষার্থীরা শোলাকিয়া রেলগেট এলাকার দিকে যান। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দু-তিনজন বক্তব্য দেন।

ওসি মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে একটি মিছিল শহরের পুরনো থানায় এসেছিল। কোনো রকম ঝামেলা না করেই তারা সরে যান। কর্মসূচি চলাকালে জনগণের জানমাল রক্ষার্থে শহরে পুলিশ মোতায়েন ছিল।

যাযাদি/ এস