ইসকন নিষিদ্ধ চেয়ে আইনি নোটিশ
প্রকাশ | ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৯:০৪
ইসকনকে আন্তর্জাতিক উগ্রপন্থি সংগঠন হিসেবে দাবী করে সংগঠনটি নিষিদ্ধ এবং আইনজীবী হত্যার বিচার চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় ও পুলিশ মহাপরিদর্শক বরাবর আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আল মামুন রাসেল ১০ আইনজীবীর পক্ষে এই নোটিশ পাঠান।
নোটিশ পাঠানো দশ আইনজীবী হলেন, মফিজুর রহমান মোস্তাফিজ, নিজাম উদ্দিন, আব্দুল হান্নান ভূঞাঁ হৃদয়, তৌহিদুল ইসলাম শান্ত, আতিকুল ইসলাম, মো. মাসুম বিল্লাহ, মো. রাসেল মাহমুদ, মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, মাহফুজুর রহমান ও আল মোমেন।
নোটিশে বলা হয়েছে, ইসকন একটি উগ্রপন্থী সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সংগঠনের প্রধান কাজ হচ্ছে উসকানিমূলক ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করা, যার উদ্দেশ্য সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি। সংগঠনটি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অধিকাংশ মৌলিক বিষয় স্বীকার করে না।
সম্পূর্ণ নিজস্ব কনসেপ্ট তারা হিন্দুদের ওপর চাপিয়ে দেয়। নিম্নবর্ণের হিন্দুদের দলে ভিড়িয়ে দল ভারী করে। সনাতন মন্দিরগুলো দখল করা ও সনাতন সম্প্রদায়কে মেরে তাড়িয়ে দেয়।
মসজিদে সাম্প্রদায়িক হামলা করে। কিছুদিন আগে পবিত্র রমজান মাসে ঢাকায় স্বামীবাগে মসজিদে তারাবির নামাজ বন্ধ করে দিয়েছিল ইসকন। নামাজের সময় গান-বাজনা বন্ধ রাখতে বলায় তারা পুলিশ ডেকে তারাবীর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। পর এ নিয়ে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। তারা বাংলাদেশে বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক সংগঠন তৈরি করে উগ্র হিন্দুত্ববাদের বিস্তৃতি ঘটায়।
নোটিশে আরও বলা হয়েছে, বিগত সরকারের পতনের পর দেশে বিভিন্নভাবে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির পেছনেও সংগঠনটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বাংলাদেশে এর আগেও তারা বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। জাতীয় পতাকার অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী গ্রেফতার হলে মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) তাকে আদালতে উপস্থাপনের পর ইসকনের নেতাকর্মীরা সম্মিলিত ও পরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে।
এ থেকে সহজেই অনুমান করা যায় যে, সংগঠনটি দেশের আইন-কানুনের তোয়াক্কা করে না। নিজেদের আইনের ঊর্ধ্বে মনে করে। আইন-আদালত ও সরকারের প্রতি ন্যূনতম শ্রদ্ধাবোধ নেই।
নোটিশে আইনজীবীরা বলেন, ইতোমধ্যে সৌদি আরব, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়াসহ আরও বেশ কিছু রাষ্ট্রে ইসকন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সত্তর ও আশির দশকে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নে ইসকন নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, কাজাখস্তান এবং তুর্কেমিনিস্তানে ইসকনের কার্যক্রমের ওপর কঠোর নজরদারি জারি রয়েছে। বাংলাদেশে তাদের সব জঙ্গি কার্যক্রম বন্ধ করা এখন সময়ের দাবি।
যাযাদি/ এম