দাগনভুইয়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান স্বপনের নির্দেশে কিশোর গ্যাং এর সন্ত্রাসীরা মালদার পাঞ্জেগানা মসজিদ সরকারি অনুদানের গড়া ঘরটি রাতের অন্ধকারে গুড়িয়ে দিয়েছে। সরকারি অনুদানের নির্মাণ কাজে বাঁধা দিয়েছে স্বপন চেয়ারম্যান। তার অনুগত কিশোর গ্যাং দিয়ে জেলা পরিষদের বরাদ্দের কাজ করতে বাঁধা প্রদান করে, রড, সিমেন্ট, বালি, কনা, ইট বন্যার পানিতে নস্ট করে ও চুরি করে নিয়ে গেছে দুবৃত্তরা।
সদর ইউনিয়ন ২ নং ওয়াডের দঃ ধর্ম পুর গ্রামের এজিমাহমুদ রোডে মালদার পাঞ্জেগানা মসজিদ।৫০ বছর যাবৎ এটি সরকারি দান অনুদানে আজো টিকে আছে। মরহুম আলী আজ্জম মালদার দুই শতক জমিতে এটি নির্মাণ করে তার সুযোগ্য উত্তরসুরি মরহুম জাকের হোসেন মালদারকে তত্বাবধানের দায়িত্ব দেন। সে মোতাবেক এটি পরিচালিত হয়ে আসছে। কিন্তু কিছু ক্ষনজন্না,কুলাংগার এ নামাজের ঘরকে ভেঙে দিতে ইন্দন দিয়ে আসছে।তারা দলিল চায়। এবিষয়ে মুফতি মাওলানা মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, মুরব্বি ওসিয়ত করে প্রতিষ্ঠন গড়ে তুলে পরিচালনা করেন, সেটাই দলিল। এর বরখেলাপ, বেয়াদবি। সুরা নিসায় এর ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে।
মালদার পাঞ্জেগানা মসজিদের সভাপতি আজাদ মালদার জানান,জেলা পরিষদের বরাদ্বের কাজে স্বপন চেয়ারম্যান সরাসরি বাঁধা প্রদান করে কাজের সময়ে মিস্ত্রি তাড়িয়ে দিয়ে রড সিমেন্ট বালি কনা ইট সব সরিয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিয়েছে। ফলে বন্যার পানিতে তলিয়ে নস্ট হয়ে গেছে, বাকিসব চুরি করে কিশোর গ্যাংএর বড় ভাই, বাবারা চুরি করে নিয়ে গেছে।
ক্ষতি করেছে কমপক্ষে পাঁচ লাখ টাকার সরকারি সম্পদ। স্হানীয় সরকারের প্রতিনিধি হয়ে সরকারী কাজে বাঁধা প্রদান করে পাঁচ লাখ টাকার সরকারি সম্পদ নস্ট করার এ অধিকার তাকে কে দিয়েছে,কোন বিধানে আছে, তার উত্তর দিতে পারেনি এ নেশাগ্রস্ত জনপ্রতিনিধি।
প্রতিটি ওয়াডে পাড়ায় মহল্লায় , তার বাহিনীর অত্যাচারে সামাজিক শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে সদর ইউনিয়ন বাসিন্দারা।
তার বিষয়ে দুদক সহ গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারি প্রয়োজন বলে ইউনিয়ন বাসির দাবি। সে কিভাবে এখনো প্রকাশ্যে পরিষদের চেয়ারম্যান পদে রয়েছে ।
তার নেতৃত্বে ৫০ জন স্ব সস্ত্র ক্যাডার মহিপালে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতাকে হত্যায় অংশ গ্রহন করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে বহু অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। সে পরিষদের বিশ শতাংশ জায়গাকে জবরদখল করে দশ শতাংশের মধ্যে নিয়ে আসে। সাবেক চেয়ারম্যান এমএ হোসেন বলেন, তিনি বিশ শতাংশ জায়গায় কাগজপত্র ঠিক করে দখল করে রেখে গেছেন তিনি। এখন দশ শতাংশের মধ্যে আছে। তাহলে বাকি দশ শতাংশ স্বপন জবরদখল করে মার্কেট নির্মান করেছে। এর সঠিকভাবে তদন্তের মাধ্যমে উদঘাটন করা দরকার বলে মনে করেন তিনি।
তার শালিস বানিজ্য , টেন্ডার বানিজ্য সহ দলের ক্যাডার সন্ত্রাসী লালন পালন সহ কিশোর গ্যাং তৈরী করে একক আধিপত্য বিস্তার করে নিজকে ডন মনে করেন। তার আচার-আচরণ ছিলো পশুর মতো। নিজ দলের লোকজন ছাড়া ভিন্ন দলের লোকজনদের সাথে কুকুরের মতো আচরন করতো।
পরিষদের চেয়ারে বসলে নিজেকে রাজা মনে করে, বাকিদেরকে প্রজা মনে করতো। রাতে লাল পানি খেলে দিনের এগারোটায ঘুম ভাঙ্গতো। দলের নেতারা বলেন, মেম্বার হওয়ার যোগ্যতা নাই, তাকে বিনা ভোটে চেয়ারম্যান বানানোর কারনে দিদারের কঠোর সমালোচনা করেন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে দ্রুত গ্রেফতার করলে সকল অপকর্মের কাহিনি সহ অবৈধ অস্ত্র উদ্বার সম্ভব হবে বলে ভুক্তভোগীরা দাবি করেন। তার অপকর্মের ফিরিস্তি শেষ করা যাবেনা বলে জানান বিভিন্ন পেশার লোকজন।
এ বেলায়েত উল্লাহ স্বপন সিএনজি স্বপন নামে বেশি পরিচিত। দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন, দেশে আসলেন, সিএনজি কিনলেন, হয়ে গেছে সিএনজি স্বপন। কোন রকমে দিনাতিপাত করেন সিএনজি স্বপন। দিদারের সাথে গোপন বানিজ্যে মেতে উঠেন স্বপন। দাগনভুইয়ার জমি জমা থেকে শুরু করে জবরদখল, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, চুরি ডাকাতি, সবকিছুতে স্বপনের হস্তক্ষেপ থাকে। তার ইশারায় চলে সব কিছু। কোটি কোটি টাকার অবৈধ বানিজ্যে মাত্র কয়েক বছরে হয়ে গেছে সিএনজি স্বপন কোটি পতি। তার সকল সম্পদের তদন্তের মাধ্যমে উদঘাটন করা দরকার বলে মনে করেন ইউনিয়নের বাসিন্দারা ।
এ বিষয়ে বেলায়েত উল্লাহ স্বপনের সাথে কথা বললে জানান,আমি নামাজের ঘর ভাঙ্গার ইন্ধন বিষয়ে জানিনা।তাদের পারিবারিক বিষয়। এটি তারা বসে সমাধান করতে বলেছি।কিশোরগ্যাং আমি নিয়ন্ত্রণ করি না। এ অভিযোগ সত্য নহে। আর কোন উত্তর না দিয়ে ফোন কেটে দেন স্বপন।
যাযাদি/ এস