মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১
ওমরাহ পালনের ফজিলত

বাংলাদেশ থেকে খুব সহজে কিভাবে ওমরাহ পালনে যাবেন 

যাযাদি ডেস্ক
  ১০ আগস্ট ২০২৪, ১২:৪৯
আপডেট  : ১০ আগস্ট ২০২৪, ১৫:৪৭
ছবি: সংগৃহীত

ওমরাহ একটি সুন্নাহ ইবাদত। ইবাদতের পদ্ধতির দিক থেকে ফরজ ইবাদত হজের সাথে ওমরাহর সাদৃশ্য রয়েছে। যারা ওমরাহ পালন করতে যান তাদেরকে বলা হয় মুতামির। সারাবছরই ওমরাহ পালন করা যায়।

একটি সুন্নাহ ইবাদত হলেও ওমরাহ পালনের যথেষ্ট ফজিলত রয়েছে। কোরআন ও হাদিসে ওমরাহর অনেক ফজিলত ও গুরুত্ব বর্ণিত হয়েছে।

মহান আল্লাহ কোরআনে বলেন, ‘আর তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে হজ, ওমরাহ পরিপূর্ণ ভাবে পালন কর…” (আল কোরআন। ২:১৯৬)।

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত; রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘এক ওমরাহ অপর ওমরাহ পর্যন্ত সংঘটিত গুনাহগুলোর কাফ্ফারা স্বরূপ। কবুল হজের প্রতিদান জান্নাত ছাড়া আর কিছুই নেই।’ (ইবনে মাজাহ : ২৮৮৮)

আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত; রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহর পথে যুদ্ধে বিজয়ী, হজকারী ও উমরাহকারী আল্লাহর মেহমান বা প্রতিনিধি। আল্লাহ তাদের আহ্বান করেছেন, তারা তাঁর ডাকে সাড়া দিয়েছেন। আর তারা তাঁর কাছে যা চেয়েছেন, তিনি তাদের দিয়েছেন’ (ইবনে মাজাহ : ২৮৯৩)।

প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) অন্য একটি হাদিসে এ বিষয়ে আরো বলেছেন, ‘হজ ও ওমরাহ পালনকারীরা আল্লাহর মেহমান বা প্রতিনিধি। তারা আল্লাহকে ডাকলে তিনি তাদের ডাকে সাড়া দেন। তারা তাঁর কাছে মাগফিরাত কামনা করলে তিনি তাদের ক্ষমা করে দেন।’ (ইবনে মাজাহ : ২৮৯২)।

আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) সূত্রে বর্ণিত; তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা হজ ও ওমরাহ আদায় করো। কেননা, হজ ও ওমরাহ দারিদ্র্যতা ও গোনাহ দূর করে দেয় ঠিক সেভাবে, যেভাবে হাঁপরের আগুন লোহা, সোনা ও রুপা থেকে ময়লা দূর করে দেয়।’ (তিরমিজি: ৮১০)।

ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক ফজিলতসমূহের পাশাপাশি দুনিয়াবী জীবনেও ওমরাহ পালনের বেশ কিছু ফজিলত রয়েছে।

ওমরাহকালীন সময়ে নিয়মিত এবাদত বন্দেগী এবং জিকির-আজকারের পাশাপাশি জীবন-যাপনের ক্ষেত্রে কঠোর শৃঙ্খলা মেনে চলতে হয়। একটি শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবন, আল্লাহর পথে মানুষকে পরিচালিত করে। তার দুনিয়ার জীবনকে সমৃদ্ধ করে। একই সাথে ওমরাহ চলাকালীন আধ্যাত্মিক পরিবেশের প্রভাবে আমাদের শরীর ও মন পরিশুদ্ধি লাভ করে।

ওমরাহ পালনের পবিত্র স্থানে প্রতিনিয়ত আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমত নাজিল হতে থাকে। হজ এবং ওমরাহ পালনকারীরা এই রহমতের স্বাদ পান।

সাধারণত পরিবারের সদস্যরা অথবা পরিচিতজনরা একসাথে ওমরাহ পালন করেন। বর্তমানে পারস্পরিক বন্ধন হারিয়ে ফেলার এই যুগে, একসাথে এতগুলো দিন কাটানো এবং ইবাদত বন্দেগীতে মশগুল থাকার কারণে পারিবারিক ও সামাজিক সম্প্রীতি বাড়ে। শুধু নিজের দেশে নয় বিভিন্ন দেশের মুসল্লিদের সাথে সৌহার্দ্যের আদান-প্রদান হয়ে থাকে ওমরাহ পালনে।

বর্তমানে সৌদি সরকারের কিছু অভিনব পদক্ষেপের কারণে ওমরাহ পালন আরো সহজ হয়েছে। এখন সৌদি আরবের যেকোনো ধরণের ভিসাধারী মুসলিমরা ওমরাহ পালন করতে পারবেন। সৌদি কর্তৃপক্ষের ওমরাহ সম্পর্কিত নীতিমালা শিথিল করার ফলে বিষয়টি অনেক সহজ হয়েছে।

ওমরাহ পালনের অনুমতির জন্য ‘নসুক অ্যাপ’ এর মাধ্যমে আবেদন করা যাবে। নিজের সুবিধা মত প্যাকেজ নিয়ে আপনি কোনরকম ঝামেলা ছাড়াই ওমরাহ করতে পারবেন। উমরাহ পালনের জন্য এখন ভুমি, আকাশ এবং নৌপথে সৌদি আরবে প্রবেশ করা যাবে। একই সাথে ভিসার মেয়াদ এখন ৩০ দিন থেকে বাড়িয়ে ৯০ দিন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ থেকে ওমরাহ ভিসা পেতে হলে আপনাকে নিম্নলিখিত শর্তগুলো পূরণ করতে হবে। একটি সঠিকভাবে পূরণকৃত ফর্ম, সৌদি কন্স্যুলেটে পাঠাতে হবে।

আপনার পাসপোর্ট এর মেয়াদ ন্যূনতম ৬ মাস থাকতে হবে। আপনার বয়স ১২ বছর বা তার অধিক হতে হবে। সদ্য তোলা ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি আবেদন ফরমের সাথে সংযুক্ত করতে হবে। ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড হবে সাদা। সৌদি আরবে পৌঁছানোর তারিখের অন্তত ১৪ দিন আগে টিকিট কাটতে হবে, মনে রাখা ভালো টিকিটের মূল্য অফেরতযোগ্য। সঠিকভাবে করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ করার প্রমাণ থাকতে হবে। সৌদি আরব পৌঁছানোর ফ্লাইটের অন্তত তিন দিন আগের পি.সি.আর টেস্ট এর রিপোর্ট থাকতে হবে। অন্তত ১৪ দিনের মেডিকেল ইন্স্যুরেন্স থাকতে হবে। অনেক সময় ক্ষেত্রবিশেষে ট্রেড লাইসেন্সের কপি এবং ভিজিটিং কার্ডের কপি দেখাতে হতে পারে।

বাংলাদেশ থেকে উমরাহ ভিসা পেতে হলে আপনাকে নিম্নলিখিত শর্তগুলো পূরণ করতে হবে।

  • একটি সঠিকভাবে পুরনকৃত ফর্ম, সৌদি কন্স্যুলেটে পাঠাতে হবে।
  • আপনার পাসপোর্ট এর মেয়াদ ন্যূনতম ছয় মাস থাকতে হবে।
  • আপনার বয়স ১২ বছর বা তার অধিক হতে হবে।
  • সদ্য তোলা ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি আবেদন ফরমের সাথে সংযুক্ত করতে হবে। ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড হবে সাদা।
  • সৌদি আরবে পৌঁছানোর তারিখের অন্তত ১৪ দিন আগে টিকিট কাটতে হবে, মনে রাখা ভালো টিকিটের মূল্য অফেরতযোগ্য।
  • সঠিকভাবে করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ করার প্রমাণ থাকতে হবে।
  • সৌদি আরব পৌঁছানোর ফ্লাইটের অন্তত তিন দিন আগের পি.সি.আর টেস্ট এর রিপোর্ট থাকতে হবে।
  • অন্তত ১৪ দিনের মেডিকেল ইন্স্যুরেন্স থাকতে হবে।
  • অনেক সময় ক্ষেত্রবিশেষে ট্রেড লাইসেন্সের কপি এবং ভিজিটিং কার্ডের কপি দেখাতে হতে পারে।

বাংলাদেশ থেকে ওমরাহ ভিসা পেতে কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করতে হয়। সেগুলো হল-

১. হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রোফাইল তৈরি করা। ২. অনলাইনে ভিসা ফরম পূরণ।

৩. প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট ওয়েবসাইটে আপলোড।

৪. বৈধ মাধ্যমে অনলাইন ফ্রী প্রদান।

৫. ভিসা অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা।

৬. ভিসা প্রাপ্তি।

আপনার ভিসার অগ্রগতি কতটুকু বা ভিসা কোন অবস্থায় আছে সেটি আপনি ঘরে বসে অনলাইনেই দেখতে পারবেন। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এটি দেখা যাবে।

তবে সবচেয়ে সুবিধাজনক পদ্ধতি হল, একটি নির্ভরযোগ্য এজেন্সির মাধ্যমে সকল ধাপ সম্পন্ন করা। এতে আপনার পছন্দ মত প্যাকেজ ঠিক করে নিয়ে নির্ধারিত ফী জমা দিয়ে দিলে, সেই এজেন্সিই সমস্ত ব্যবস্থা করে দেবে।

বাংলাদেশে এমন একটি আস্থাভাজন এজেন্সি হল ITS Holidays Ltd এজেন্সিটির রয়েছে উমরাহ যাত্রীদের সেবা দেওয়ার দীর্ঘদিনের রেকর্ড। তাদের ওয়েবসাইটে দেয়া রয়েছে সব আকর্ষনীয় উমরাহ প্যাকেজ, যেখান থেকে আপনিও আপনার পছন্দ মতো বেছে নিতে পারেন। এবং আপনার উমরাহ যাওয়ার সকল চিন্তা তাদের উপর ছেড়ে দিয়ে নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন। ITS Holidays Ltd এর সাথে আপনার উমরাহ হবে সহজ, দুশ্চিন্তা মুক্ত এবং সম্পূর্ণ ঝামেলা-বিহীন।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে