মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১

ঈদের জামাতে মুসল্লিদের ঢল, ফিলিস্তিনিদের জন্য বিশেষ দোয়া

যাযাদি ডেস্ক
  ১৭ জুন ২০২৪, ০৮:৫৯
আপডেট  : ১৭ জুন ২০২৪, ০৯:০৫
ছবি যাযাদি

রাজধানীতে মসজিদে মসজিদে ঈদের জামাতে মুসল্লিদের ঢল নেমেছে। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের পাশপাশি সব ছোট বড় জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয় ঈদের জামাত। এসব জামাতে সব বয়সের মুসল্লিরা অংশ নেন। সবার পরনে ছিলো নতুন জামা। এই এক অন্যরকম দৃশ্য।

এদিকে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার কয়েকটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৭ জুন) সকাল ৭টার এ জামাতে অংশ নিতে মুসল্লিদের ঢল নামে। হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লির অংশগ্রহণে ও যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করা হয়। প্রথম জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইহসানুল হক। মোকাব্বির হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বায়তুল মোকাররম মসজিদের সাবেক মুয়াজ্জিন হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

নামাজের আগে ইমাম হাফেজ মাওলানা ইহসানুল হক উপস্থিত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বয়ান করেন। তিনি বলেন, আল্লাহ মুসলিম উম্মাহর জন্য বিভিন্ন ইবাদত পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন। তার মধ্যে ঈদুল আজহা অন্যতম। আজকের এই দিনে আল্লাহর কাছে সবচেয়ে পছন্দের আমল হচ্ছে পশুর রক্ত প্রবাহিত করা। তবে কেবল মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যেই কোরবানি করতে হবে। এক্ষেত্রে কেউ যদি ন্যূনতম গাফিলতি করে তবে তার কোরবানি কবুল হবে না। মানুষের বাহবা পাওয়ার উদ্দেশ্যে কোরবানি করা যাবে না।

বায়তুল মোকাররম মসজিদে আরও চারটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ইসলামী ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররম মসজিদে ঈদুল আজহার দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায়, তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায়, চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় এবং পঞ্চম ও সর্বশেষ ঈদের জামাত হবে বেলা পৌনে ১১টায়।

সকাল ৮টার দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম মাওলানা মুহীউদ্দিন কাসেম। মোকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আবদুল হাদী।

সকাল ৯টার তৃতীয় জামাতে ইমামতি ককরেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির মাওলানা আবু সালেহ পাটোয়ারী। মোকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

এদিকে আল্লাহর উদ্দেশে পশু কোরবানির আগে মসজিদ ও ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঈদুল আজহার নামাজ। নামাজের আগে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় ধর্মীয় বিধিবিধান, নিয়ম মেনে কোরবানি করা, অসহায়দের মাঝে কোরবানির গোশত বিতরণের বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করেন ইমামরা। নামাজ শেষে সব জায়গায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এতে ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মুসলমানদের নিয়ে প্রার্থনা করা হয়।

মোনাজাতে ইমামদের পক্ষ থেকে মুসলমানদের ওপর ইসরায়েলের বর্বরতা বন্ধে আল্লাহর কাছে দোয়া করা হয়।

রাজধানীর অন্যান্য মসজিদের মতো জাতীয় ঈদগাহ ও জাতীয় মসজিদ বাইতুল মোকাররমে নামাজ শেষেও মোনাজাতে ফিলিস্তিনের অসহায় মানুষের জন্য দোয়া করা হয়। এ সময় আমিন-আমিন ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে