মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১

শুক্রবার পবিত্র হজ শুরু, মক্কায় তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি

যাযাদি ডেস্ক
  ১২ জুন ২০২৪, ১২:২৮
আপডেট  : ১২ জুন ২০২৪, ১২:৫০
ছবি-সংগৃহিত

বর্তমানে সৌদি আরবে অবস্থান করছেন প্রায় ২০ লাখ মুসল্লি। যারা অপেক্ষায় আছেন এবারের হজ পালনের। এর পাশাপাশি স্থানীয়রাও হজ অংশ নেওয়ার অপেক্ষায় আছেন। সব মিলিয়ে প্রায় ২২ লাখ মুসলিম এবার হজ পালন করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। তবে সৌদি সরকার স্থানীয়দের ব্যাপারে এবার কঠোরতা অবলম্বন করছেন। যারা ইতোমধ্যে হজ করেছেন তাদেরকে এবার হজে অংশ নিতে দিচ্ছে না। বিনা অনুমতিতে যারা অংশ নিবেন তাদের বিশাল অংকের অর্থ জরিমানা করা হবে।

জানা যায়, আগামী শুক্রবার পবিত্র হজ। এবার হজের সময় প্রচণ্ড তাপমাত্রা থাকবে বলে জানিয়েছে সৌদির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ সময়টিতে গড় তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। খবর আল আরাবিয়ার।

সৌদির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এক সতর্কবার্তায় জানানো হয়েছে— এ বছর তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পেয়েছে, যা হজযাত্রীদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

মঙ্গলবার সৌদি প্রেস এজেন্সির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে— স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মুহাম্মদ আল-আব্দুলআলি বলেছেন, উচ্চ তাপমাত্রা হজযাত্রীদের স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ।

হজ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি এবং এটি করতে সক্ষম এমন সব মুসলমানকে অন্তত একবার হজ করা ফরজ। এ বছরের হজ শুরু হচ্ছে ১৪ জুন শুক্রবার।

ন্যাশনাল সেন্টার ফর মেটিওরোলজি সতর্ক করেছে, হজে মক্কা এবং অন্যান্য পবিত্র স্থানে গড় তাপমাত্রা দেড় ডিগ্রি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে। মক্কায় গড় উচ্চ তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে। এবং দিনের বেলা আবহাওয়া খুবই গরম থাকবে।

আল-আব্দুলআলি বলেন, হজযাত্রীদের অবশ্যই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশিকা অনুসরণ করতে হবে। যেমন সূর্যের সরাসরি এক্সপোজার এড়াতে ছাতা বহন করা, পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা এবং ক্লান্তি ও তাপ কমাতে পর্যাপ্ত বিশ্রামের ব্যবস্থা করা।

নিরাপদ হজের জন্য কিছু পরামর্শ

হজের সময় গড় তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে। হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হওয়ার পর চাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অতিরিক্ত তাপমাত্রায় হিটস্ট্রোক বাড়তে পারে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে— হিটস্ট্রোক হলে অবশ্যই আক্রান্ত ব্যক্তিকে শীতল জায়গায় স্থানান্তরিত করতে হবে। এ সময় পানি দিয়ে শরীর মুছতে হবে এবং এয়ারকন্ডিশনারের আশপাশে থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। একই সঙ্গে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

হজযাত্রীদের সূর্যের আলো থেকে সরাসরি দূরে থাকা, ভিড় এড়ানো এবং খাবার পানি সঙ্গে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

হজের আনুষ্ঠানিকতা পালনের সময় পানিশূন্যতা এড়াতে হজযাত্রীদের প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করা এবং ফল ও শাকসবজির মতো পানিসমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে মন্ত্রণালয়।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে