ভারতীয় হাইকোর্টের রায়, হিন্দু-মুসলিম বিবাহ বৈধ নয়

প্রকাশ | ৩১ মে ২০২৪, ১০:০৮ | আপডেট: ৩১ মে ২০২৪, ১০:১৪

যাযাদি ডেস্ক
প্রতিকী ছবি

ভারত-বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে হিন্দু-মুসলিম তরুণ-তরুণীদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। যখন এ সম্পর্ক অনেক দিন গড়িয়ে যায় তখন আসে বিয়ের প্রসঙ্গ। এই প্রসঙ্গে ইসলামের বিধান হচ্ছে আহলে কিতাবের অনুসারী ছাড়া কাউকে বিয়ে করা যাবে না। তাই হিন্দু-মুসলিম বিয়ে হতে পারে না। এবার এই বিধানের পক্ষে রায় দিয়েছেন ভারতীয় হাইকোর্ট।  

জানা যায়, হিন্দু নারী এবং মুসলমান পুরুষের মধ্যে বিবাহ আদৌ বৈধ নয়। ইসলামি আইনে এই ধরনের বিবাহকে বৈধতা দেয়া হয়নি। একটি মামলায় এমনটাই জানাল ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের হাইকোর্ট। আদালতের কাছে নিরাপত্তা চাওয়া যুগলের আবেদনও খারিজ করে দেয়া হয়েছে। ওই যুগল ১৯৫৪ সালের বিশেষ বিবাহ আইনে অন্তর্ধর্মীয় বিবাহের স্বীকৃতি চেয়েছিলেন। তাতে সম্মতি দেয়নি আদালত।

আরও জানা যায়, মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্টের বিচারপতি গুরপাল সিংহ আহলুওয়ালিয়ার পর্যবেক্ষণ, বিশেষ বিবাহ আইন অনুসারে কোনো মুসলিম যুবকের সাথে হিন্দু তরুণীর বিয়ে হলেও ইসলামি আইনে ওই বিবাহকে ‘অনিয়মিত’ বলে উল্লেখ করা হবে। কারণ, ইসলামি আইন অনুসারে, কোনো মুসলমান পুরুষ যদি এমন কোনো নারীকে বিয়ে করেন, যিনি অগ্নি কিংবা মূর্তিপুজো করেন, তা হলে ওই বিয়ে বৈধ নয়। বিশেষ বিবাহ আইনে বিয়ে হলেও ইসলামি আইনে তা অনিয়মিত।


বিয়ের স্বীকৃতি এবং যথোপযুক্ত নিরাপত্তা চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক হিন্দু নারী এবং মুসলমান যুবক। নারীটির পরিবার এই বিয়ের বিরোধিতা করেছে। তাদের বক্তব্য, এই বিয়ে হলে সমাজ তাদের দূরে সরিয়ে দেবে। বিয়ের আগে নারী বাড়ি থেকে গয়নাগাটি নিয়ে গিয়েছেন বলেও অভিযোগ।


আদালতে মামলাকারীরা জানান, বিশেষ বিবাহ আইনে তারা বিয়ে করতে চান। কিন্তু দু’জনের কেউ এই বিয়ের কারণে নিজেদের ধর্ম পরিবর্তন করতে চান না। মামলাকারীদের আইনজীবী আদালতে জানান, বিশেষ বিবাহ আইনে বিয়ে হলে ইসলামি আইন সে ক্ষেত্রে আর প্রযোজ্য হবে না। কিন্তু বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ব্যক্তিগত আইনে কোনো বিষয়ে নিষেধ থাকলে বিশেষ বিবাহ আইন প্রযুক্ত হতে পারে না।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

যাযাদি/ এস