ইরানে বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ১৪, আহত ৭৫০

প্রকাশ | ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:২৮

যাযাদি ডেস্ক
ইরানের শাহিদ রাজায়ী বন্দরেভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ড ঘটনা ঘটে

ইরানের দক্ষিণাঞ্চলের একটি বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন সাত শতাধিক মানুষ। ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য ব্যবহৃত রাসায়নিক উপাদান মজুতের কারণেই এ বিস্ফোরণ বলে জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম।

সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাজধানী তেহরান থেকে ১ হাজার কিলোমিটার দক্ষিণে ইরানের শাহিদ রাজায়ী বন্দরে ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ড। মুহূর্তেই ধোঁয়া ও ছাইয়ে ছেয়ে যায় গোটা এলাকা। বিস্ফোরণের পর হেলিকপ্টার দিয়ে পানি ছিটিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিস্ফোরণের বিকট শব্দে চারপাশ কেঁপে ওঠে। বিস্ফোরণের ধাক্কায় সেখানে উপস্থিত অনেকেই এদিক-ওদিক ছিটকে পড়ে যায়।
 
বন্দরের কাছে আহতদের উদ্ধার করে স্ট্রেচারে করে নিয়ে যেতে দেখা গেছে উদ্ধারকর্মীদের। ইরানের রেড ক্রিসেন্ট সদস্যরাও উদ্ধার কাজে অংশ নেন। দমকল বিমানে পানি ছিটিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হয়।
  
ইরানের প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার কর্মকর্তারা জানান, এ ঘটনায় অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৭৫০ জনের বেশি মানুষ। বিস্ফোরণের কারণ নিয়ে কোনো সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি তেহরান। তবে প্রশাসনের দাবি, এ বিস্ফোরণের সঙ্গে তেল শিল্পের কোনো যোগসূত্র নেই।
 
ইরানের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র হোসেইন জাফরি শহীদ রাজায়ী বন্দরে বিস্ফোরণের জন্য রাসায়নিকের দুর্বল মজুতকে দায়ী করেছেন। ইরানের আইএলএনএ সংবাদ সংস্থাকে তিনি বলেন,পাত্রের ভেতরে থাকা রাসায়নিকই ছিল বিস্ফোরণের কারণ।
 
বেসরকারি নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান অ্যামব্রের তথ্য অনুযায়ী, মার্চ মাসে চীন থেকে শাহিদ রাজায়ী বন্দরে সোডিয়াম পারক্লোরেট রকেট ফুয়েল নামের একটি রাসায়নিক পদার্থের চালান এসেছিল।
  
শনিবার রাতেই ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আইআরএনএ জানায়, বন্দর এলাকায় বিপজ্জনক রাসায়নিক ও পণ্যের মজুতের কারণেই বিস্ফোরণ ঘটে বলে দাবি করেছে দেশটির কাস্টমস প্রশাসন। তবে বিস্তারিত কিছু জানায়নি তারা।
 
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া তিনি দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন।

যাযাদি/ এসএম