জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে গত মঙ্গলবার বিচ্ছিন্নতাবাদি গোষ্ঠীর হামলায় অন্তত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন বাদে সকলেই পর্যটক। ঘটনার পরদিনই দুপুরে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এক উচ্চ পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছিলেন। সেখানে ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান ও তিন বাহিনীর প্রধান। বৈঠকের পরেই হুঙ্কার ছেড়ে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছিলেন, পেহেলগাম হত্যাকাণ্ডের হত্যাকারীদেরই নয়, ষড়যন্ত্রকারীদেরও দ্রুত জোরাল জবাব দেওয়া হবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিহারের একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, পেহেলগামে হামলাকারীদের কল্পনাতীত শাস্তি দেবেন তিনি।
ভারতীয় সেনা এবং অন্যান্য নিরাপত্তা এজেন্সিগুলি শুক্রবার সকাল থেকেই তল্লাশি চালাচ্ছে কাশ্মিরের প্রতিটি গ্রামে ও জঙ্গলে। নির্বিচারে গুলিবর্ষনও চালাচ্ছে ভারতীয় সেনারা। এপর্যন্ত গুলি-বোমায় নিহত হয়েছে ৪ পাকিস্তানি সেনা। পাশাপাশি কাশ্মীরের বান্দিপোরায় ভারতীয় সেনার গুলিতে নিহত হয়েছেন লস্কর কমান্ডার আলতাফ লাল্লি।
পেহেলগামে ঘটে যাওয়া জঙ্গি হামলার সঙ্গে পাকিস্তানের কোনও যোগসূত্র নেই, বলেই আগে দাবি করেছিলেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। এদিকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তথা উপপ্রধানমন্ত্রী ইশাক দার হামলাকারীদের স্বাধীনতা সংগ্রামী বলে আখ্যায়িত করেছেন।
তিনি ইসলামাবাদে এক সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন, 'জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে যারা হামলা চালিয়েছে, তারা স্বাধীনতা সংগ্রামীও হতে পারে, আমরা জানি না তারা কারা ছিল!'