পেহেলগাম হামলার পর ৭২ ঘণ্টা পেরোয়নি। কাশ্মীর জুড়ে জঙ্গিদমন অভিযানে বড়সড় সাফল্য পেল ভারতীয় সেনা। বান্দিপোরায় সেনা অভিযানে এক শীর্ষ লস্কর জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে দাবি ভারতীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।
নিহতের নাম আলতাফ লালি। তিনি কাশ্মীরে লস্করের অন্যতম কম্যান্ডার এবং রিক্রুটার ছিল বলে খবর। পেহেলগাম হামলার সঙ্গে লালির সরাসরি যোগ ছিল কিনা খতিয়ে দেখছে সেনা।
পেহেলগাম হামলার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একেবারে স্পষ্ট ভাষায় বলে দিয়েছেন, সন্ত্রাসবাদকে সমূলে উৎখাত করবে ভারত। সন্ত্রাসবাদীরা যে প্রান্তেই থাক তাদের খুঁজে বের করে মারা হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন একথা বলছেন, ততক্ষণে কাশ্মীরজুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে চিরুনি তল্লাশি। বারামুলা, উধমপুরে বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) রাত থেকেই অভিযান চালাচ্ছে সেনা। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) ভোর থেকে যৌথ অভিযান শুরু হয়েছে বান্দিপোরায়।
বান্দিপোরায় কুলনার বাজিপোরা জঙ্গলে কয়েকজন জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার ভোররাত থেকে ওই এলাকায় অভিযান শুরু করে ভারতীয় সেনা। গোটা জঙ্গল ঘিরে ফেলে অভিযান চালানো হয়। বেশ কিছুক্ষণ গুলির লড়াই চলার পর আলতাফ লালি নিহত হয়। এখনও ওই এলাকায় তল্লাশি চলছে। শুধু বান্দিপোরা নয়, কাশ্মীরের বিভিন্ন প্রান্তেই এই ধরনের অপারেশন চলছে। স্থানীয়দের মধ্যেও জঙ্গিদের মদতদাতা সন্দেহে প্রায় দেড় হাজার জনকে আটক করে চলেছে জিজ্ঞাসাবাদ।
এদিকে এদিন সকালেই পেহেলগাম হামলায় জড়িত দুই জঙ্গির বাড়ি বিস্ফোরণে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, সকালে পেহেলগাম হামলার অন্যতম অভিযুক্ত আসিফ শেখের পুলওয়ামার বাড়িতে তল্লাশি করতে গিয়েছিল নিরাপত্তা বাহিনী। তবে ফাঁকা বাড়িতে থাকা বেশ কিছু সরঞ্জাম দেখে তাঁদের সন্দেহ হয়। বাড়ি থেকে বাহিনী বেরিয়ে আসার পরেই বিরাট বিস্ফোরণ। ধ্বংস হয়ে যায় আসিফের বাড়ি। পহেলগাঁওয়ে হামলাকারীদের পথ দেখিয়েছিল যে জঙ্গি, সেই আদিল ঠোকরের বাড়িও বিস্ফোরণে গুঁড়িয়ে গিয়েছে।