ভারতের উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব এবং হরিয়ানার ১০১টির মতো কৃষক সংগঠনের ডাকে ‘দিল্লি চলো’ অভিযানকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। কৃষকরা দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন সকালে। কিন্তু শম্ভু সীমানায় তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ।
আন্দোলনরত কৃষকেরা ব্যারিকেড টপকে এগোতে গেলেই তাঁদের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বাধে পুলিশের। বিক্ষোভকারীদের জমায়েত হটাতে জলকামান, কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। সংঘর্ষে ১৭ জন কৃষক আহত হয়েছেন বলে খবর। তার পরই কৃষকেরা তাঁদের ‘দিল্লি চলো’ অভিযান স্থগিত করে দেন। আবার ‘দিল্লি চলো’ অভিযান করবেন, নাকি অন্য পথে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন, তা নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেই ঠিক করা হবে বলে জানান কৃষকেরা।
কৃষক নেতা তেজভির সিংহ বলেন, ‘‘আমরা আজকের কর্মসূচি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। হরিয়ানা পুলিশের ছোড়া কাঁদানে গ্যাসের ফলে ১৭ জন কৃষক গুরুতর আহত হয়েছেন। আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি আমরা খুব তাড়াতাড়িই ঘোষণা করব।’’
ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি), কৃষি ঋণ মকুব, পেনশনের ব্যবস্থা এবং বিদ্যুতের বিল না-বাড়ানোর মতো বেশ কয়েকটি দাবি নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে পঞ্জাব এবং হরিয়ানার কৃষক সংগঠনগুলি। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে কৃষকেরা দিল্লি সংলগ্ন পঞ্জাব এবং হরিয়ানার শম্ভু এবং খানাউড়ি সীমানায় অবস্থানে বসে রয়েছেন। নভেম্বর থেকে দফায় দফায় ‘দিল্লি চলো’ কর্মসূচি নিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু কৃষকদের কর্মসূচি রুখতে শম্ভু সীমানায় ১৬৩ ধারা জারি করে পুলিশ। অম্বালার বিস্তীর্ণ এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের মতো পদক্ষেপও করে তারা।
শনিবার ( ১৪ ডিসেম্বর) সকালে সংযুক্ত কিসান মোর্চা (অরাজনৈতিক) এবং কিসান মজদুর মোর্চার তরফে ১০১ জন কৃষককে নিয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে দিল্লির উদ্দেশে মিছিল শুরু করে।
তবে মিছিল শম্ভু সীমানায় পৌঁছতেই তাদের আটকে দেওয়া হয়। মিছিল এগোনোর চেষ্টা করলে পথ আটকান পুলিশকর্মীরা। দফায় দফায় কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানো হয়। কার্যত ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন কৃষকেরা।
এর আগে চার বার কৃষকেরা দিল্লি যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু প্রতি বারই দিল্লি ঢোকার আগেই আটকে দেওয়া হয় তাঁদের। মিছিলের উপর পুলিশি হানার নিন্দা করেছেন কৃষক নেতা সরওয়ান সিংহ পান্ধের।
যাযাদি/ এম