দক্ষিণ কোরিয়ায় জরুরি ভিত্তিতে সামরিক আইন জারি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল।
মঙ্গলবার ( ৩ ডিসেম্বর) টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ ঘোষণা দেন তিনি। ‘কমিউনিস্ট বাহিনীর’ হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ভাষণে ইউন সুক-ইওল বলেন, ‘উদারপন্থী দক্ষিণ কোরিয়াকে উত্তর কোরিয়ার কমিউনিস্ট বাহিনীর হুমকি থেকে সুরক্ষা দিতে এবং রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন শক্তি উৎখাত করতে, আমি জরুরি ভিত্তিতে সামরিক আইন জারি করছি।’
‘বিধ্বংসী ও রাষ্ট্রবিরোধী শক্তির আগ্রাসনের মুখে দেশের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং মানুষের স্বাধীনতা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া ছাড়া উপায় ছিল না’-যোগ করেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট।
সামরিক আইনের আশ্রয় নেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে সামরিক আইনের আওতায় কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করেননি তিনি।
ইয়োনহাপ বার্ত সংস্থা জানিয়েছে, ক্ষমতাসীন এবং বিরোধী দুই দলই এই ঘোষণা বন্ধ করে দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে। তারা সামরিক আইন জারির পদক্ষেপকে ‘ভুল’ আখ্যা দিয়েছে।
এদিকে প্রেসিডেন্টের সামরিক শাসন জারির পর জরুরী বৈঠক ডেকেছে অন্যতম বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টি।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বিরোধী দল নিয়ন্ত্রিত সংসদে নিজেদের এজেন্ডাগুলো বাস্তবায়ন করতে বাঁধার সম্মুখীন হন ইউন সুক-ইওল।
যাযাদি/ এম