১০০০ দিন পেরিয়ে গিয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বরাবরই রহস্যে মোড়া। তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খুব একটা কাটাছেঁড়া হয়নি। তবে শোনা যায় যে এক সময় গোপনে প্রণয়ে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি! সেখান থেকেই জন্ম হয় তাঁর ‘অবৈধ্য’ কন্যা এলিজাভেটা ওলেগোভনা রুডনোভার।
শোনা গিয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে নাম পালটে লুইজা রোজোভা নামে প্যারিসে আত্মগোপনে রয়েছেন ২১ বছরের ওই তরুণী। যাঁকে নাকি হুবহু দেখতে পুতিনের মতোই।
সম্প্রতি পুতিনের এই ‘গোপন’ মেয়েকে নিয়ে খোঁজখবর শুরু করে ইউক্রেনের এক টেলিভিশন চ্যানেল টিএসএন। তাদের প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী ‘ওলেগোভনা’ শব্দের বিশেষ অর্থ রয়েছে। যার অর্থ ওলেগের কন্যা।
ওই সংবাদমাধ্যমের দাবি, ওলেগ রুডনোভ নামে পুতিনের এক সহযোগী ছিলেন। বড় বড় রিয়েল এস্টেটের ডিল পাইয়ে দিতে রুশ প্রেসিডেন্টকে সাহায্য করতেন তিনি। ২০১৫ সালে মৃত্যু হয় ওলেগের। যুদ্ধ শুরুর আগে পর্যন্ত নাকি এই ব্যক্তির আত্মীয়ের পরিচয় ব্যবহার করতেন লুইজা।
জানা যায়, লুইজার মায়ের নাম স্বেতলানা ক্রিভোনোগিখ। এক সময় এই মহিলার প্রেমেই নাকি মগ্ন ছিলেন পুতিন। ধীরে ধীরে সম্পর্ক গভীর হয় তাঁদের মধ্যে। সেসময় স্বেতলানা সাফাইকর্মীর কাজ করতেন। কিন্তু আজ ৪৯ বছর বয়সী ওই মহিলা বিরাট উদ্যোগপতি।
বিখ্যাত আন্তর্জাতিক ব্যাঙ্কের অংশীদার হওয়ার পাশাপাশি সেন্ট পিটার্সবার্গের এক জনপ্রিয় স্ট্রিপ ক্লাবের মালকিনও স্বেতলানা। কিন্তু নিভৃতেই দিনযাপন করেন মা-মেয়ে।
লুইজার সম্পর্কের যে তথ্য উঠে এসেছে তাতে দেখা গিয়েছে, পারিবারিক নাম ‘ভ্লাদিমিরোভনা’ গোপন রেখেছেন তিনি। একসময় প্যারিস স্কুল অফ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড আর্টসের ছাত্রী ছিলেন লুইজা। এলিজাভেটা ওলেগোভনা রুডনোভা হিসাবে তালিকাভুক্ত একটি পাসপোর্ট রয়েছে তাঁর। যেখানে জন্মতারিখ ৩ মার্চ, ২০০৩ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। পড়াশোনার পর রাশিয়াতেই ডিজে হিসাবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন পুতিনের মেয়ে। ২০২১ সাল পর্যন্ত লুইজা সোশাল মিডিয়ায় খুবই অ্যাক্টিভ ছিলেন। নিয়মিত ছবি, ভিডিও পোস্ট করতেন।
কিন্তু ২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরই নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলেন লুইজা। পুতিন বিশেষ সামরিক অভিযান ঘোষণা করতেই অনেকে তাঁর পোস্টের নিচে ইউক্রেনের পতাকার ছবি দিতেন। বাঙ্কারে লুকিয়ে থাকা নিয়ে নানা কথা বলতেন। সেই থেকেই লুইজা পরিচয় বদলে আত্মগোপনে রয়েছেন প্যারিসে।
যাযাদি/ এম