রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, গত দুই দিনে ইউক্রেনে ১০০টি ড্রোন ও ৯০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলার জবাবে এসব ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। পাশাপাশি তিনি কিয়েভে নতুন ওরেশনিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আক্রমণের হুমকি দিয়েছেন। এসব হামলায় ইউক্রেনের নীতি-নির্ধারণী স্থাপনাগুলো লক্ষ্যবস্তু হতে পারে।
পুতিন বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় সাবেক সোভিয়েত দেশগুলোর নিরাপত্তা জোটের বৈঠকে দেওয়া ভাষণে এসব কথা বলেন।
এদিকে ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রগুলো তাদের বিদ্যুৎ স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে নিক্ষেপ করা হয়েছে।
পুতিন অবশ্য গত সপ্তাহে ইউক্রেনের ডিনিপ্রো শহরে রাশিয়ার ওরেশনিক মধ্যম-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের বিষয়টিও ভাষণে উল্লেখ করেছেন।
যৌথ নিরাপত্তা সংক্রান্ত সংস্থা সিএসটিওর শীর্ষ সম্মেলনে পুতিন বলেন, রাশিয়া পরমাণুবাহী অস্ত্রের ধারাবাহিক উৎপাদন শুরু করেছে। আমাদের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বর্তমানে নতুন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলার জন্য ইউক্রেনে আরও লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করছে।
পুতিন বলেন, পশ্চিমা দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার ভ‚খÐে ইউক্রেনের হামলার প্রতিক্রিয়ায় চালানো আক্রমণে কিয়েভের ‘নীতি-নির্ধারণী স্থাপনাগুলোও’ লক্ষ্যবস্তু হতে পারে। পুতিন আরও বলেন, ওরেশনিকের ব্যাপক ব্যবহার পারমাণবিক অস্ত্রের সঙ্গে তুলনীয়।
ইউক্রেনের জ্বালানি মন্ত্রী গালুশচেঙ্কো গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছেন, দেশের বিদ্যুৎ অবকাঠামোতে শত্রুর ব্যাপক আক্রমণ হয়েছে।
জেলেনস্কির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এ হামলাকে ‘ঘৃণ্য’ বলে অভিহিত করেছেন এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে গুচ্ছ অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ এনেছেন। তিনি টেলিগ্রামে দেওয়া পোস্টে বলেন, ‘বেশ কয়েকটি অঞ্চলে ক্লাস্টার বোমা হামলা করা হয়েছে। তারা বেসামরিক অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। এটি রাশিয়ার সন্ত্রাসী কৌশলের অত্যন্ত ঘৃণ্য পদক্ষেপ।’
জেলেনস্কি বলেন, ‘রুশ হামলা থেকে রক্ষা পেতে এখন ইউক্রেনের আরও পশ্চিমা বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রয়োজন। এটি (বিদ্যুৎ সরবরাহ) শীতকালে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, এখন আমাদের রাশিয়ার আক্রমণ থেকে (বিদ্যুৎ) অবকাঠামোগুলো রক্ষা করতে হবে।’
যাযাদি/ এসএম