মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন হচ্ছে আরও সিএপিএফ বাহিনী

প্রকাশ | ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৮:২৫

যাযাদি ডেস্ক
ছবি : সিএপিএফ

কুলদীপ সিং রাজ্যে চলমান জাতিগত হিংসার ভয়াবহ পরিণতি তুলে ধরেছেন। তিনি জানান, গত বছরের মে থেকে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে হিংসায় ২৫৮ জনের প্রাণহানি হয়েছে। তিনি জানান, আরও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে রাজ্যে।

গত ৭ নভেম্বর থেকে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মণিপুর। এই অবস্থায় রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আরও ৯০ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করতে চলেছে কেন্দ্র। এই ৯০ কোম্পানিতে রয়েছে ১০,৮০০ জন জওয়ান। 

ইতিমধ্যেই মণিপুরে মোতায়েন রয়েছে ১৯৮ কোম্পানির সেনা জওয়ান। ফলে আরও ৯০ কোম্পানি সেনা জওয়ান মোতায়েন হলে সেক্ষেত্রে মোট সংখ্যা হয়ে দাঁড়াবে ২৮৮ কোম্পানি। মণিপুরের রাজ্য নিরাপত্তা উপদেষ্টা কুলদীপ সিং একটি সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের কথা জানান।

কুলদীপ সিং জানান, গত বছরের মে থেকে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে হিংসায় ২৫৮ জনের প্রাণহানি হয়েছে। 

তিনি জানান, আরও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে রাজ্যে। সমস্ত জেলা এবং ইম্ফল শহরের পরিস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য একটি নিরাপত্তা পর্যালোচনা বৈঠক করা হয়েছে বলে কুলদীপ জানান। 

তিনি বলেন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, সিআরপিএফ, বিএসএফ এবং আইটিবিপি-র আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য যৌথভাবে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এরপর তিনি জানান, রাজ্যে ইতিমধ্যেই ১৯৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আছে। আরও ৯০ কোম্পানি মোতায়েন করছে কেন্দ্র। এর মধ্যে ৭০ কোম্পানি বাহিনী  ইতিমধ্যেই ইম্ফল এসে পৌঁছেছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ নভেম্বর থেকে নতুন করে হিংসা ছড়িয়েছে মণিপুরে। বিশেষ করে জিরিবাম জেলা উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। প্রথমের দিকে এই জেলায় হিংসা না ছড়ালেও ৭ নভেম্বর থেকে এই জেলায় হিংসা শুরু হতেই এখনও পর্যন্ত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। জানা যায়, জিরিবাম জেলায় কুকি জঙ্গিরা হামলা চালায়। তাতে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলি বিনিময়ে ১০ জঙ্গির মৃত্যু হয়। পরে তারা ৬ গ্রামবাসীকে অপহরণ করে। তাদের মেরে ফেলে দেয় জঙ্গির। এনিয়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ চলে জেলায়। 

জানা যায়, মেইতিদের বিক্ষোভের সময় পুলিশের গুলিতে এক যুবকের মৃত্যু হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানে গত ১৮ নভেম্বরে ৫০ কোম্পানি সিএপিএফ মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এবার সেই সংখ্যা বেড়ে হল ৯০ কোম্পানি।

সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস

যাযাদি/ এম