বেশ কিছুদিন ধরেই গ্রামের আশপাশে ঘুরতে দেখা গিয়েছিল বাঘিনীটিকে। আর তাতেই আতঙ্ক ছড়ায়। তার পর বাঘিনীর উপর হামলা চালান গ্রামবাসীরা।
বুধবার এই হামলার ঘটনায় বাঘিনীর দু’টি চোখই নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে বন দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে।
কামাখ্যার সংরক্ষিত অরণ্য থেকে বেরিয়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়েছিল বছর তিনেকের ওই বাঘিনী। লোকালয়ে বাঘ ঘুরতে দেখেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। আশপাশের কয়েকটি গ্রামেও বাঘ বার হওয়ার খবর দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে। সেই খবর পেয়েই শতাধিক গ্রামবাসী জড়ো হয়ে বাঘিনীকে ঘিরে ধরেন। অভিযোগ, তার পর ইট, পাথর এবং লাঠি দিয়ে বাঘিনীর উপর হামলা চালানো হয়। বন দফতর খবর পেয়ে বাঘিনীটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। তবে বাঘিনীর একটি চোখ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আর একটি চোখও বেশির ভাগটাই ক্ষতিগ্রস্ত।
বাঘিনীর উপর হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে একাংশের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। রেঞ্জার বিভূতি মজুমদার জানিয়েছেন, জুলাইয়ে বন্যার পর থেকে লোকালয়ে বাঘেদের আনাগোনা বেড়েছে। কিন্তু বুধবার যে বাঘিনীটির উপর হামলা হয়েছে, সেটি কোনও গ্রামবাসীর উপর আক্রমণ করেনি, এমনকি কোনও গবাদি পশুও শিকার করেনি বলে দাবি রেঞ্জারের।
কয়েক দিন ধরেই গ্রামের আশপাশে ঘুরতে দেখা গিয়েছিল বাঘিনীটিকে। আর তাতেই আতঙ্ক ছড়ায়। তার পর বাঘিনীর উপর হামলা চালান গ্রামবাসীরা। হামলা থেকে বাঁচতে জলে ঝাঁপ মারে বাঘিনী। ১৭ ঘণ্টা পর আহত বাঘিনীকে উদ্ধার করেন বন দফতরের কর্মীরা। বৃহস্পতিবার আহত প্রাণীটিকে চিকিৎসার জন্য কাজিরাঙার সেন্টার ফর ওয়াইল্ডলাইফ রিহ্যাবিলিটেশন অ্যান্ড কনজ়ারভেশন (সিডব্লিউআরসি)-এ নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সিডব্লিউআরসি-র ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক ভাস্কর চৌধুরী জানিয়েছেন, বাঘিনীর দু’টি চোখই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘চোখ ছাড়াও বাঘিনীর মাথা এবং শরীরের অভ্যন্তরীণ অংশেও চোট রয়েছে।’’ গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে বন দফতর।
যাযাদি/এসএস