প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর দ্বিতীয় বিয়ে। চারমাস আগে পুত্র সন্তানের জন্ম। তারপরেও বিবাহ বর্হিভুত সম্পর্কে মত্ত স্বামী।
অভিযোগ, স্ত্রীকে মোটরবাইকে চাপিয়ে এনে তার বাবার বাড়ির পাশের রাস্তায় অচৈতন্য অবস্থায় ফেলে পালায় স্বামী। জামাইয়ের গ্রেপ্তারের দাবিতে মঙ্গলবার মালদার চাঁচল থানার অভিযোগ দায়ের করলেন শাশুড়ি। অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। অভিযুক্ত এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছে।
চাঁচল ২ ব্লকের সাঞ্চিয়া গোপালপুরের নিতাই রবিদাসের মেয়ে সীতা রবিবাদাসের বিয়ে হয় রতুয়া ২ ব্লকের মাগুরা এলাকার পেশায় ফল ব্যবসায়ী কমল রবিদাসের সঙ্গে। কমলের ছিল এটি দ্বিতীয় বিয়ে। প্রথম পক্ষের স্ত্রীর মৃত্যু হয়। সন্তানের জন্মের পর চালচলন বদলে যায় কমলের। তিনি পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ তুলছেন তার স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে বিষ পান করিয়ে প্রাণে মারার চেষ্টা করেন কমল।
গত ১৩ নভেম্বর বুধবার স্ত্রীর বাপের বাড়ি এলাকার রাস্তায় স্ত্রীকে ফেলে পালিয়ে যায় কমল। পরিবার ও স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে তাকে সামসি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সেখান থেকে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রেফার করা হয়। মঙ্গলবার চাঁচল থেকে মালদহ মেডিক্যালে রেফার করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এমতাবস্থায় চারমাসের পুত্র সন্তানও মাতৃদুগ্ধ না পেয়ে কষ্টে রয়েছে। এই মুহূর্তে ভরসা প্যাকেজ জাতীয় তরল দুধ। এদিন জামাই সহ সাতজনের বিরুদ্ধে চাঁচল থানার লিখিত অভিযোগ হয়েছে।
যাযাদি/এসএস