বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১

এবার লেবাননে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরাইল

যাযাদি ডেস্ক
  ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ১৩:৫৩
ছবি: সংগৃহীত

বৈরুতের দক্ষিণের শহরতলির দাহিয়েহ অঞ্চলে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে তীব্র হামলা চালিয়ে আসছে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। দাহিয়েহ অঞ্চলটি হিজবুল্লাহর ঘাঁটি হিসেবে বিবেচিত।

এবার ইসরাইলি বাহিনী জানিয়েছে, স্থল হামলার পরিসর আরও বিস্তৃত করা হচ্ছে। হিজবুল্লাহর লক্ষ্যবস্তু নিশানা করে মঙ্গলবার থেকে লেবাননের দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলেও স্থল হামলা শুরু করেছে তারা।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবার) এক প্রতিবেদনে এক খবর দিয়েছে ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপি।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে আইডিএফ জানায়, লেবাননের দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলেও স্থল ‘অভিযান’ শুরু করেছে সেনাবাহিনীর ১৪৬তম ডিভিশন। এ বিবৃতিতে দাবি করা হয়, সীমিত পরিসরে নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় হিজবুল্লাহর অবস্থান ও স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত কতজন সেনা পাঠানো হয়েছে, সেই তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি।

অবশ্য টাইমস অব ইসরাইল এক প্রতিবেদনে বলেছে, গত ৯ দিনে লেবাননে ১৫ হাজারের বেশি সেনা পাঠিয়েছে ইসরাইল।

এদিকে আরেক বিবৃতিতে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী মঙ্গলবার বলেছে, দক্ষিণ লেবাননে বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালিয়ে গত ২৪ ঘন্টায় ভারি বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর ছয় সেক্টর কমান্ডার এবং আঞ্চলিক কর্মকর্তাসহ কমপক্ষে ৫০ জন যোদ্ধাকে হত্যা করেছে তারা।

দুই সপ্তাহ ধরে ইসরাইলি বাহিনীর নির্বিচার হামলার মুখে কিছুটা পিছু হটেছে হিজবুল্লাহ। মঙ্গলবার হিজবুল্লাহর উপপ্রধান নাইম কাসেম বলেছেন, ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে যেতে চান তারা।

টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে নাইম কাসেম বলেন, ‘লেবাননের পার্লামেন্টের স্পিকার নাবিহ বেরি যুদ্ধবিরতির জন্য যে রাজনৈতিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন, তাতে আমাদের (হিজবুল্লাহর) সমর্থন রয়েছে।’

গত ২৭ সেপ্টেম্বর হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ এবং ইরানি কুদস ফোর্সের শীর্ষ কমান্ডার জেনারেল আব্বাস নিলফোরোওশানকে এখানে হত্যা করে ইসরাইল। নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার তিন দিন পর ৩০ সেপ্টেম্বর দেশটির দক্ষিণ সীমান্ত দিয়ে ঢুকে ইসরাইলি সেনারা স্থল হামলা শুরু করেন।

তেল আবিব বলে আসছে, হিজবুল্লাহর হামলার ভয়ে উত্তর ইসরাইলের অন্তত ৬০ হাজার বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে হয়েছে। এসব বাস্ত্যচুত পরিবারকে ঘরে ফেরাতে যে কোনো মূল্যে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে আক্রমণ চালিয়ে যাবে।

ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) দাবি, তাদের লক্ষ্য হল সীমান্ত এলাকাগুলো হিজবুল্লাহর দখল সরানো। এসব জায়গা থেকে হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা গোপনে সামরিক কার্যক্রম চালাচ্ছে। লেবাননের গভীরে যাওয়ার তাদের কোন পরিকল্পনা নেই।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে